ঈশ্বরদীতে এক ব্যক্তির লাশ ফেলে পালানোর সময় হাতেনাতে আটক

0
85

জেলা প্রতিনিধি,পাবনা: ৬ জুন বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত ব্যক্তি ঈশ্বরদীর মশুড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা নিয়ামত আলী। ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর আখ সেন্টারের কাছে একটি এ্যাম্বুল্যান্স থেকে তড়িঘড়ি করে জহুরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তির লাশ ফেলে পালানোর সময় নিয়ামত আলী (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, পাবনা শহরের পাথরতলা থেকে এ্যাম্বুল্যান্সে করে লাশ এনে মৃত জহুরুলের পৈত্রিক বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল। মৃত জহুরুল নতুন রূপপুর আখ সেন্টারের নিকটবর্তী স্থায়ী বাসিন্দা শাহদত ইসলামের ছেলে। তার প্রথম স্ত্রী শারমিন খাতুন সাথী ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস করে। অন্যদিকে জহুরুল ছোট বউ সান্ত্বনা ও তার গর্ভের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে থাকতো।

সর্বশেষ জহুরুলের অবস্থান ছিলো পাবনার পাথর তলায়। এখান থেকেই জহুরুলের লাশ এ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে আটক নিয়ামত এক প্রশ্নের জবাবে পাথরতলার জনৈক ব্যক্তির নির্দেশে লাশ পৌঁছে দিতে এসেছে বলে জানায়। ওদিকে প্রায় ঠিক একই সময়ে জহুরুলের ছোট বউ সান্ত্বনা ছেলে মেয়ে ভাইসহ একটি মাইক্রোবাসে করে তার বাবার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া থেকে জহুরুলের পৈত্রিক বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পাবনার পাথরতলার জনৈক ওই একই ব্যক্তি সান্ত্বনাকেও জহুরুলের মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে তাদেরকে রূপপুর আসতে বলে। সে মোতাবেক তারা তড়িঘড়ি করে রুপপর এসে পৌঁছায়। তবে জহুরুলের মৃত্যুর বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানায়।

এদিকে জহুরুলের গলায়, কানের নীচেসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত জানা না গেলেও রহস্যজনক বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহার উদ্দিন ফারুকী জানিয়েছেন, জহুরুলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনসহ, আমরা আইনগত সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইতিমধ্যেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য জহুরুলের লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ির সামনে এভাবে লাশ ফেলে পালানোর ঘটনা ঘটে।