টাঙ্গাইলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষনের অভিযোগ!

0
97

আশিকুর রহমান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে পানির সাথে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় দেলদুয়ার থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা। মামলা দায়েরের পর ধর্ষনের সহযোগী সুমি নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল আসামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

জানাযায়, গত শনিবার সন্ধায় নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী প্রতিবেশী এক চাচীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এসময় একই এলাকার কামাল সিকদারের লম্পট ছেলে রতন ওই বাড়িতে আসে। পরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিবেশী চাচী ছাত্রীটিকে কেক খাওয়ায়। এসময় ওই ছাত্রী পানি খেতে চাইলে প্রতিবেশি চাচী তাকে পানি এনে দেয়। পরে পানি খাওয়ার কিছুক্ষন পরেই ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পরে। এরপর প্রতিবেশী চাচীর সহযোগিতায় ওই ছাত্রীর হাত-পা বেধে তাকে ধর্ষণ করে রতন।

এদিকে নির্যাতিতা ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় তার বোন এবং মা তাকে খুঁজতে আসলে চাচীর ঘরের ভিতর শব্ধ হয়। পরে তারা নির্যাতিতা ছাত্রীর হাত পা বাধা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এঘটনার পর থেকে ধর্ষক রতন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বলে জানা গেছে। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরে তালা ঝুলছে।

ওই ছাত্রী বলেন, পাশের বাড়ির সুমি চাচীর কাছে গিয়ে প্রায়ই বসে থাকতাম। শনিবার সন্ধায় গেলে সে আমাকে কেক খেতে দেয়। পরে পানি খেতে চাইলে ঘরে বসিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর সে পানি নিয়ে আসে। পানি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ঘুমিয়ে যাই। ঘুম ভাঙ্গলে দেখি আমার হাত-পা বাধা। এসময় প্রচুন্ড পেট ব্যথা হচ্ছিলো। পরে ওই সুমি চাচী আমাকে আচার খাইয়ে দেয়। এসময় কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় রতন। তার কিছুক্ষণ পরে আমার মা ও বোন খুঁজতে খুঁজতে এসে আমাকে এখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এঘটনায় দু’জনের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, মেয়েটি প্রতিদিন পাশের বাড়িতে গিয়ে বসে থাকে এবং সন্ধার মধ্যে ফিরে আসে।শনিবার অনেক রাত হলেও সে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে গেলে সুমির ঘরের ভেতরে কিছু শব্দ শোনা যায়।পরে আমার ছোট মেয়ে মোবাইলের লাইট জালিয়ে বেড়ার নিচ দিয়ে দেখে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপরে রতন এসে প্রথমে আমাদেরকে হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় মাতাব্বরা মিমাংসার জন্য চাপ দেয়। মিমাংসা না করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেলদুয়ার থানায় রতনকে প্রধান আসামি ও প্রতিবেশী ওই সুমিকে সহযোগী আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন বলে জানান তিনি। এঘটনায়
দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিরদাবী করেছেন তিনি।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. সদর উদ্দিন
বলেন,ওই শিক্ষার্থীর শারিরীক পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মেডিকেল
রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

এবিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহিনুল ইসলাম ফকির বলেন,
ধর্ষণের অভিযোগে দেলদুয়ার থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা
হয়েছে। ইতিমধ্যেই সহযোগী আসামি এক মহিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামী
পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরোও জানান, আজ বিকেলে কিশোরী শারিরীক পরীক্ষা ও আদালতে ২২ধারায়
জবানবন্ধী রেকর্ড করা হয়েছে।