শ্রীনগরে কম খরচে ভুট্রা চাষে লাভ বেশী, সাইলেজের কদর বাড়ছে

0
106

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে ভুট্রা চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় ভুট্রা ক্ষেতিতে স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ছে। এই অ লের খামারিরা গো-খাদ্য হিসেবে কাঁচা ঘাসের চাহিদা পূরণে ভুট্রার সাইলেজের কদর বাড়ছে। দানাদার ভুট্রার বীজ সংগ্রহের পাশাপাশি সাইলেজ ব্যবসায়ীদের কাছে ভুট্রার সবুজ গাছ বিক্রি করছেন ভুট্রা চাষীরা। বর্তমান বাজারে প্রকার ভেদে প্রতিমণ ভুট্রার দানাদার বীজ মূল্য ১১০০-১২০০ টাকা। সেখানে ভুট্রার প্রতি মণ সাইলেজের দর ৪০০-৪৫০ টাকা। জানা গেছে, পুষ্টিগুণে ভরা ভুট্রার খাবার সামগ্রীও মানবদেহের জন্য খুব উপকারী। ভুট্রার নানাবিধ ব্যবহারে সারাদেশে ভুট্রার চাহিদা দিনদিন বাড়ছে।

স্থানীয়রা জানায়, গেল ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ঝূর্ণিঝড় মিকজাউম ও টানা বৃষ্টিতে এই অ লে কিছু আগাম ভুট্রা ক্ষেত নষ্ট হয়। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন চকে ও ভাগ্যকুল এলাকার পদ্মার চরে ভুট্রার চাষ হচ্ছে। এই অ লে খামারিদের কাছে ভুট্রার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে অনেকাংশে। ভাগ্যকুল এলাকার দক্ষিণ কামারগাঁও গ্রামের মো. কাউসার খান জানান, পদ্মার চরে প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে ভুট্রার চাষ করছেন।

নিদিষ্ট সময় (৬৫-৭৫ দিন) এসব ক্ষেতের ভুট্রার সবুজ গাছ সাইলেজের জন্য তোলা হবে। গেল বছর প্রায় সাইলেজের জন্য ৫০০ বিঘায় ভুট্রার আবাদ করা হয়েছিল। গেলবার প্রতি টন ভুট্রার সবুজ গাছ সংশ্লিষ্ট খামারীর কাছে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। বীরতারা এলাকার আমির হোসেন নামে এক কৃষক জানান, ৪ বিঘা জমিতে ভুট্রার আবাদ করছেন। আগামী মাসের প্রথম দিকে জমি থেকে ভুট্রার বীজ সংগ্রহ করবেন তিনি। সিংপাড়া এলাকার খামারি মো. মিন্টু জানান, সর্ব ক্ষেত্রেই ভুট্রার চাহিদা বাড়ছে। গো-খাদ্য ভুট্রার ভুষির কেজি ৬০ টাকা। দুগ্ধ খামারে কাঁচা ঘাসের চাহিদা পূরণে ২ বিঘা জমিতে ভুট্রার আবাদ করেছেন তিনি। এগুলো এখন সাইলেজ আকারে গবাদি পশুকে খাওয়ানো হচ্ছে। এতে গরুর দুধও উৎপাদণ বেশী হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, এ বছর উপজেলায় ১২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। এ চাষে প্রদর্শনীর ক্ষেত রয়েছে ২টি।