দিনাজপুরের হিলিতে জেঁকে বসেছে শীত, নেই সূর্যের দেখা

0
33

হিলি প্রতিনিধি: উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে পুরোপুরি জেঁকে বসেছে শীত। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। এরি সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের অভাবে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন। পেটের তাগিদে বাহির হলেও আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানান রোগে।

হিলিতে গত দুই-তিন দিন ধরেই কুয়াশার মাত্রা বেশি হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা কম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ভোররাত থেকে শুরু করে অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশা ঝরছে। ঠিক যেন কুয়াশার বৃষ্টি হচ্ছিল। যার কারণে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

দিনমজুর হাসান আলী বলেন, বেশ কয়েক দিন থেকে হিলিতে শীতের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। গতকালকের চেয়ে আজ আরও বেশি শীত পড়েছে। যত দিন যাচ্ছে তত শীতের মাত্রা বাড়ছে। । শীতের কারণে ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। এতে করে ঠিকমতো কাজেও যেতে পারছি না। আবার পেটের তাগিদে বাহির হলেও যারা কাজে নেবে তারা না আসায় আগের মতো কাজ মিলছে না। সব মিলিয়ে শীতের কারণে আমাদের খুব কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। সরকারি কিছু অনুদান পেলে আমাদের মত মানুষেরে ভালো হতো ।

পথচারী এনামুল হক বলেন, সকাল থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত চারদিক কুয়াশা ছেয়ে আছে সকালের দিকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। যার কারণে সড়কে কোনও কিছু দেখা যাচ্ছে না। প্রচন্ড শীত পড়ায় আমাদের মতো বয়স্ক মানুষদের চলাফেরা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভ্যান-চালক রায়হান হোক বলেন, গতকাল যে শীত ছিল তার চেয়ে আজকে শীতের মাত্রা আরও বেশি। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে এমন অবস্থা যে, সামনে কি আছে সেটাও দেখা যাচ্ছে না। তারপরেও পেটের তাগিদে আমাদের ভ্যান নিয়ে বাড়ির বাহির হতে হয়েছে। কিন্তু তীব্র শীতের কারণে মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা বের হচ্ছে না।এতে করে ভ্যান নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রী ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। এত করে আমাদের রোজগার কমে যাওয়ায় খুব বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

হিলির বাজারের চা দোকানী খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘হিলিতে যেভাবে কুয়াশায় নরেচড়ে বসছে এর কারণে বাড়ি থেকে দোকানে আসতে দেরি হচ্ছে । শীতের মাঝে এত কষ্ট করে দোকান খুলেও আমাদের কোনও লাভ হচ্ছে না। শীতের কারণে বাজারে মানুষজন তেমন নেই।