ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সামিউলকে বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসুন

0
343

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চিংগুড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করে শিশু সামিউল।

তিন বছর আগে বাবা-মায়ের কোল জুড়ে ছোট্ট এ শিশুটির জন্ম হয়। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে সামিউল। কিন্তু কে জানতো এতো অল্প সময়ের মধ্যেই দুরারোগ্য ক্যান্সার বাসা বাঁধবে তার শরীরে। বাম চোখের ভিতরে টিউমার ধরা পরেছে। সেই টিউমার এখন রূপ নিয়েছে মরণব্যাধি ক্যান্সারে।

অল্প সময়ের মধ্যেই বাম চোখটি উপড়ে না ফেললে সমস্ত শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে মৃত্যু হতে পারে তার। এমনই অভিমত করেছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ। অথচ অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে তার। তাই সামিউলের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত পেতেছেন তার পরিবার।

জানা যায়, শিশু সামিউলের পিতা মো. সায়েম মোল্লার গ্রামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ধানখালী ইউনিয়নে। সেখানে বসতভিটা না থাকায় লালুয়া ইউনিয়নের চিংগুড়িয়া গ্রামে নানা মৃত্যু নুর হোসেন মাতব্বরের বাড়িতে বসবাস করে আসছে তার পরিবার। বাবা সায়েম মোল্লা ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। বোন সামিয়া (৮) ও মায়ের সাথে গ্রামে থাকেন শিশু সামিউল। এখানেই জন্ম হয় সামিউলের। এখন তার বয়স তিন বছর। বড় হওয়ার সাথে সাথে তার চোখের চাহনির অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন মা ফজিলাতুন্নেছা বেগম। গত চারমাস আগে সন্দেহ আরও ঘনিভূত হলে প্রথমে স্থানীয় কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখান তিনি। সেখানকার ডাক্তার ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। হতদরিদ্র মা তখন দিশেহারা হয়ে পড়েন। অভাবের সংসারে ঢাকা গিয়ে চিকিৎসা করানো অসম্ভব হয়ে যায় তার কাছে। ধার-দেনা করে অনেক কষ্টে কিছু টাকা সংগ্রহ করে সন্তান নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন মা ফজিলাতুন্নেছা। সেখানে প্রথম কাশিপুর চক্ষু হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে তারা কোনো রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। পরে ইসলামিয়া হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ধানমন্ডি ইবনে সিনায় টেষ্ট করালে শিশুটির বাম চোখের মধ্যে টিউমার ধরা পড়ে। যা এখন ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে। শিশুটিকে বাঁচাতে হলে অতি দ্রুত অপারেশন করে ওর চোখটি ফেলে দিতে হবে। এমন কথাই সেখানকার ডাক্তারগণ শিশু সামিউলের মা ফজিলাতুন্নেছাকে জানান।

শিশুটির চোখের অপারেশন, চোখ প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসা ব্যয়ে প্রায় এক হতে দেড় লক্ষ টাকা প্রয়োজন। যা বহন করা তার পরিবারের কাছে একেবারেই অসম্ভব। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে শিশুটির পরিবার সাহায্য প্রার্থনা করছেন।

এ অল্প কিছু টাকা সাহায্য পেলে শিশু সামিউল ফিরে পেতে পারে তার স্বাভাবিক জীবন। যা বর্তমান সমাজের অনেক বিত্তবানদের প্রতিদিনকার পকেট খরচ হিসেবে ব্যয় হয়।

শিশু সামিউলের মা ফজিলাতুন্নেছার মোবাইল (01701931244) নাম্বারে যোগাযোগ করে সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।