মহাসড়কে অবৈধ ও লক্কর-ঝক্কর গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না: বিআরটিএ চেয়ারম্যান


বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিএ চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোন অবৈধ যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। তিনি জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ বিআরটিএ সহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
তিনি শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন এবং বিআরটিএ পঞ্চগড় সার্কেলের যৌথ আয়োজনে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত (নিহত/আহত) ৩২টি পরিবারের অনুকূলে বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ডের মঞ্জুরিকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, কোন লক্কর-ঝক্কর গাড়ি মহাসড়কে আমরা চলতে দিবো না। এজন্য বিআরটিএ প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি গাড়িগুলো কিন্তু ছাড় পাবে না। আমি বিআরটিএ’র গাড়িও ডাম্প করেছি। তিনি দেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট -এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “২০৪০ সাল পর্যন্ত আমাদের ইকোনমিক টেকঅফ প্রবলেম। আমাদের অধিকাংশ ইয়াং জেনারেশন, যারা দেশটাকে ইকোনমিটাকে চাঙ্গা করবে তাদের সংখ্যাটা এখন বেশি। ৪০ এর পরে এই সংখ্যাটা কমতে থাকবে। এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, এটি কেবল একটি আর্থিক সহায়তা নয় বরং বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে সহযোগিতা। সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি আরও জানান, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন, যাতে সব ক্ষতিগ্রস্তরাই কিছুটা আর্থিক সহায়তা পান এবং সংসার পরিচালনায় তাদের কিছুটা সহযোগিতা হয়।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ইমাম রাজি টুলুর সঞ্চালনায়, অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ফরহাদ হোসেন, বাস, মিনিবাস, কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান, পঞ্চগড় জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪ এর সাধারন সম্পাদক আকবর হোসেন সহ নিহত পরিবারের স্বজনেরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় বিআরটিএ ঠাকুরগাঁও সার্কেলের সরকারি পরিচালক তন্ময় কুমার ধর, পঞ্চগড় বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক হিমাদ্রি ঘটক, নিহতের পরিবারের সজন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
				


