ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেলদি যুবসমাজ গঠনে কসবায় আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট এক অনন্য দৃষ্টান্ত

মাদক—এ এক নিঃশব্দ মৃত্যুঘণ্টা, যা প্রতিদিন আমাদের সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে গ্রাস করছে। একটি জাতির ভবিষ্যৎ যেখানে তরুণদের উপর নির্ভর করে, সেখানে আজ এই প্রজন্ম হারিয়ে যাচ্ছে হতাশা, অবসাদ ও আসক্তির অন্ধকারে। এই প্রেক্ষাপটে আশার আলো হয়ে উঠেছে মাঠ—খেলাধুলা। কারণ মাঠ মানে শুধু শরীরচর্চা নয়, এটি আত্মার জাগরণ, চরিত্র গঠন এবং জীবনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশিক্ষণ।

এই বিশ্বাস থেকেই কসবা উপজেলার বুকে গড়ে উঠেছে এক আলোকবর্তিকা—“আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট”। এটি শুধু একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়; বরং একটি সামাজিক আন্দোলন, এক সাংস্কৃতিক জাগরণ, এক নৈতিক প্রতিরোধ—যার মাধ্যমে যুবসমাজ ফিরে পাচ্ছে নিজের অস্তিত্ব, নিজের স্বপ্ন ও নিজের ভবিষ্যৎ।

“মাদককে না বলুন, মাঠে ফিরুন”—এই স্লোগান এখন কসবায় প্রতিটি তরুণের হৃদয়ের ভাষা। মাঠজুড়ে কেবল বল গড়াচ্ছে না, প্রতিধ্বনিত হচ্ছে এক সংগ্রামী আকাঙ্ক্ষা—মাদকমুক্ত, সুশৃঙ্খল, প্রগতিশীল একটি সমাজ গড়ার। আর এর পেছনে যিনি অন্যতম অনুপ্রেরণা, তিনি হলেন কসবা-আখাউড়া অঞ্চলের পরিচিত মুখ, তরুণদের হৃদয়ের মানুষ, জাতীয়তাবাদী দর্শনের ধারক-বাহক ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া।

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে যখন এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, তখন সেটা শুধুই একটি খেলার সূচনা ছিল না; বরং ছিল এক আদর্শিক ঘোষণাপত্র। তিনি যুবসমাজকে মনে করিয়ে দিয়েছেন—মাঠই তাদের ভবিষ্যৎ, খেলাই তাদের সংগ্রাম। আর এই সংগ্রামেই জয় হবে সম্ভাবনার, নৈতিকতার, জাতীয়তাবাদী চেতনার।

এই মাঠেই একদিন ছাত্র আন্দোলনের গর্জনে কেঁপে উঠেছিল আকাশ-বাতাস। ছাত্রদল নেতা ছালাম ও মামুন, যারা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে হারিয়েছেন চিরতরে চোখের আলো, আজ সেই একই মাঠে দাঁড়িয়ে যেন ইতিহাসকে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। তাদের আত্মত্যাগ শুধু অতীত নয়, এটি বর্তমানকে পথ দেখায়, ভবিষ্যৎকে জাগায়।

এক সময় ফুটবল ছিল বাংলাদেশের জাতীয় আবেগ। আজও সেই উত্তেজনা বহমান, প্রমাণ মেলে ঘরোয়া ফুটবলে বাড়তে থাকা দর্শকপ্রবাহে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মত ক্লাবগুলো আন্তর্জাতিক মানের প্রতিভা গড়ে তুলছে। অথচ এই সব প্রতিভার শিকড় পুষ্ট হয় তৃণমূলে—ঠিক যেমন কসবায় অনুষ্ঠিত আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া ফুটবল টুর্নামেন্টে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকসেবনের সাথে যুক্ত, যার সিংহভাগই ১৫-৩০ বছর বয়সী যুবক। অথচ গবেষণা বলছে, যারা নিয়মিত খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত, তাদের মধ্যে মাদকাসক্তির হার মাত্র ৫%। অর্থাৎ ক্রীড়াচর্চাই সবচেয়ে কার্যকর সামাজিক ও মানসিক প্রতিরোধ।

তিনি শুধু একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেননি; বরং কসবাকে জাতীয় ক্রীড়ানীতির একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় আগামীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে—যেখানে কসবার যুবসমাজ পাবে একটি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম, পরিচিত হবে বিশ্বদরবারে।

যখন সমাজের একাংশ যুবসমাজকে ঘিরে হতাশার চিত্র আঁকে, তখন কসবা দেখাচ্ছে এক বিকল্প বাস্তবতা—যেখানে মাঠে গড়ে উঠছে চরিত্র, গঠন হচ্ছে নেতৃত্ব, তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যৎ। আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া কেবল একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি এই প্রজন্মের স্বপ্নদ্রষ্টা, এক নতুন কসবা-আখাউড়া গড়ার স্থপতি।

এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি গোল, প্রতিটি করতালি, প্রতিটি গর্জন যেন ঘোষণা করছে— “ফুটবল শুধু খেলা নয়, এটা একটি জীবনদর্শন—যেখানে আছে আশা, আছে সংগ্রাম, আছে বিজয়ের সম্ভাবনা।” আর এই জীবনদর্শনের পথপ্রদর্শক কসবার গর্ব, আমাদের অনুপ্রেরণা—আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া।

এই বিভাগের আরও সংবাদ