আত্মপ্রকাশ করলো শহীদ সন্তোষ স্মৃতি ফাউন্ডেশন

0
698

রাজেশ গৌড়, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সন্তোষ চন্দ্র বিশ্বাসের কর্ম ও স্মৃতিকে ধরে রাখতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আত্মপ্রকাশ করলো শহীদ সন্তোষ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। শুক্রবার বিকেলে পৌর শহরের নগর কফি লাউঞ্জে এই সংগঠনের পথচলার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সন্তোষের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনিক দাশ। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি পলাশ সাহা। কবি মামুন রণবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক মোহন মিয়া,কবি আবুল বাশার,ডা. মো: কামরুল ইসলাম প্রভাষক জনপদ চৌধুরী, সমাজকর্মী আমিনুল হক, দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, শহীদ সন্তোষের ভাই সুনীল বিশ্বাস, উন্নয়নকর্মী মোরশেদ আলম, প্রকৃতির পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল তুহিন,কবি শাওন হাসান,সাংবাদিক নুরুল হুদা উজ্জ্বল,সাংবাদিক আরিফুর রহমান পাপন,শাহজাহান কবির ,রাজেশ গৌড়,মাসুদ রানা,সাদিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আলোচকরা বলেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আজ এই সংগঠনের শুভযাত্রা শুরু হলো। শহীদ সন্তোষ প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। তার এই ত্যাগ ইতিহাসে এক স্বর্ণালি অধ্যায়। মাতৃভূমির প্রতি তার অবদানের কথা চিরকাল ভাস্বর হয়ে থাকবে। শহীদ সন্তোষ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সুন্দর সব কাজের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেবে নতুন প্রজন্মের মাঝে,আমরা সেই প্রত্যাশাই করি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সন্তোষ চন্দ্র বিশ্বাস উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের কটুচান বিশ্বাসের পুত্র ছিলেন। উপজেলার বিজয়পুর থেকে পাকবাহিনীদের বিতাড়িত ও তাদের ঘাটি দখল করতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা চালায়। এটিই ছিলো দুর্গাপুরের মুক্তিযোদ্ধের প্রথম সম্মুখযুদ্ধ। এই যুদ্ধে টানা কয়েক ঘণ্টা পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধদের গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে পাকবাহিনী গুলি করা বন্ধ করে দেয়। এই সময় সন্তোষ বিশ্বাস জয় বাংলা উচ্চারণ করে এগিয়ে আসতে থাকলে আবারো পাকবাহিনী গুলি করা শুরু করে। পাকবাহিনীর ছোরা একটি টু-ইঞ্চ মর্টার গুলি এসে মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ বিশ্বাসের মাথায় আঘাত করলে তখনই তিনি মৃত্যুবরণ করে।