মা ইলিশ রক্ষায় বন্ধ থাকবে মাছ ধরা, দুশ্চিন্তায় রাঙ্গাবালীর জেলেরা!

0
121

এম এ ইউসুফ আলী, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ইলিশ আহরণের মৌসুম প্রায় শেষ। ১২ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে সমুদ্রে ইলিশ আহরণ। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর উপজেলার উপকূল জেলেরা পরেছে দুশ্চিন্তায়। সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কেটে সমুদ্র গিয়েছে জেলেরা। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বারবার সমুদ্রে গিয়ে ফিরতে হয়েছে তীরে জেলেদের। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে অনেক জেলেই ঠিকভাবে মাছ ধরতে পারে নাই সমুদ্রে।

আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা শুরু। এই নিষেধাজ্ঞায় কীভাবে চলবে তাদের সংসার? কী করবে তারা, এ নিয়েই দুশ্চিন্তায় জেলেদের। এছাড়াও জেলেদের রয়েছে নানা অভিযোগ নিষেধাজ্ঞা সময় জেলে চাল সেটা পায় তারা নিষেধাজ্ঞার শেষের দিকে। পাশাপাশি এই নিষেধাজ্ঞা নিয়েও রয়েছে জেলেদের দাবি। জেলেদের এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা যেনো পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই বন্ধের সময় কীভাবে সংসার চলবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় শেষ নেই তাঁদের।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজের জেলে মনির হাওলাদার বলেন, সামনে গেছে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা তারপর সাগর গেলেও তেমন কোন মাছ পাই নাই। তারপর যেই একটু মাছ জালে ধরা পরছে। তখনই আবার আবহাওয়া খারাপ, সাগর উত্তাল থাকার কারণে আমাদের বেশির ভাগ সময় ঘাটে থাকতে হইছে। ঠিকভাবে মাছও ধরতে পারি নাই। এখন আবার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কীভবে সংসার চলবে? এখন এটাই চিন্তা আমাদের। নিষেধাজ্ঞার যে চাল সেটা যদি ঠিক সময় দিতো তাও চলতো কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরে আমরা চাল দিয়ে কী করবো।

সাগর থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন কোড়ালিয়া ঘাটে এক ট্রলার কথা হয় সেই ট্রলারের মাঝি জুলহাস চৌকিদারের সাথে তিনি জানান, শুনছি এই মাসের ১২ তারিখ নাকি অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা)। এই অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা) আর আবহাওয়া আমাদের কে ঠিকভাবে সাগরে থাকতে দিলোনা, সাগর এখন মাছ ভালো কিন্তু মাছ তো আর ধরতে পারবো না। সাগর উত্তাল থাকার কারণে সাগরে গেছি আর আসছি। এখন কীভাবে যে কিস্তি আর সংসার চালাবো সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি। যদি সরকার যদি আমাদের অবরোধটা একটু পিছিয়ে দিতো তাহলে আমাদের জন্য ভালোই হত। এখন সাগরে একটু মাছ আছে হয়তো এই ২২ দিনের পর সাগরে আর মাছ থাকেনা। তারপর সাগরে গেলে তেমন কোন মাছ পাওয়া যায়না। আমাদের একটা দাবি নিষেধাজ্ঞা যেনো পিছিয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমেদ আখন্দ বলেন, অবোরধ সফল করতে আমরা ইতিম্যে প্রতি ইউনিয়নে আমরা উঠান বৈঠকসহ চলছে ধারাবাহিক গনসংযোগ। এছাড়াও মাইকিং করা হয়েছে। এবার অবোরধের প্রথমই জেলেদের চাল দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই চালের বরাদ্দ হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, রাঙ্গাবালীতে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১২৮২০ জেলে। এছাড়াও নতুন করে নিবন্ধিত হয়েছে আরও ৩হাজার ৯শ’ ৯৭জন জেলের।