জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি!

0
114
ফাইল ছবি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, ঢাকাসহ সারাদেশে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর ভয়াবহ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক হেলথ ইমারজেন্সি বা জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় এখনো আসেনি। তবে দেশে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বা ডেঙ্গু সংক্রমণ আরও বাড়লে স্বাস্থ্যসেবা সংকটে পড়তে পারে বলে জানান তিনি।রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি জানান, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুরোগী ভর্তি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপরে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা ৫০০টি। কিন্তু সেখানে রোগী ভর্তি আছেন ৬০০ জনের মতো। এতে বোঝা যাচ্ছে, শয্যা না পাওয়া ডেঙ্গুরোগীরা কীভাবে সেখানে আছেন। আমরা অতিরিক্ত কিছু শয্যার ব্যবস্থা সেখানে করেছি। সে অনুযায়ী যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দিতে চেষ্টা করছি।

ডা. খুরশীদ আলম জানান, মুগদা হাসপাতালের আশপাশের জোনগুলো যেমন শনিরআখড়া, যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, কদমতলি, বাসাবো ,মুগদা থেকে শুরু করে রামপুরা পর্যন্ত পুরো এলাকাতেই ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেশি। এসব রোগীদের বেশিরভাগই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করেছি সেখান থেকে কিছু রোগী অন্যত্র সরিয়ে নিতে। কিন্তু রোগীরা রাজি হননি। তারা তাদের বাসাবাড়ির কাছাকাছি থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্য হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি ছিল, কিন্তু সেগুলো ধীরে ধীরে ভরে যাচ্ছে। দেশে উদ্বেগজনক হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। আমরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আমরাও সংকটে পড়ে যাবো। তবে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত আমাদের কোনো সংকট নেই। তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গুরোগী ভর্তির তথ্য দিচ্ছে না। যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গুরোগী ভর্তির তথ্য গোপন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে শনিবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ালো ১০০ জনে। এ ছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৬২৩ জন।