জাতীয় শোকদিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

0
268

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে শোকাবহ আগস্টের ২১তম দিনে কুষ্টিয়া শহরের ২১ নং ওয়ার্ডে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২১আগস্ট) সন্ধা ৭টার দিকে কুষ্টিয়া শহর ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোকদিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলয় কুমার সরকার। এবং সার্বিক পরিচালনা করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আনিছ কোরাইশী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু স্বপন কুমার ঘোষ। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক ও সিনিয়র সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফজলে করিম খোকা। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেবুন নেছা সবুজ, কুষ্টিয়া পৌর ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাংবাদিক নুর আলম দুলাল প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন শহর ছাত্র লীগের সাবেক আহবায়ক হাসিব কোরাইশী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, শহর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আফিল উদ্দিন, শহর ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, শহর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম শিপন, সাধারন সম্পাদক মানব চাকী, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মুক্তার।

অনুষ্ঠানে বক্তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের এ মাসে বাঙালি জাতি হারিয়েছে তার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পাশাপাশি হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। তিনি আরো বলেন, সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল সহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। সেদিন প্রানে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা।
২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনড হামলা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রথম কিংবা শেষ চেষ্টা নয়। এর আগে পরে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর ১৫ বার সশস্ত্র হামলা হয়েছে। ষড়যন্ত্র হয়েছে আরো অন্তত ৫বার। রাখে আল্লাহ মারে কে, সেদিন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রান দিয়েছিলেন তার দেহরক্ষী মাহবুব। সেদিনের হামলায় আইভী রহমান সহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। সেদিন বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, যে নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। আর সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এর মত জঘন্যতম কাজ আর হয় না৷ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা খান্ত হয়নি, বার বার হত্যা করার চেষ্টা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার চায় দেশ ও জনগণের মঙ্গল, সে লক্ষ্যে দেশের এতো উন্নয়ন হয়েছে। শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিনত করে দেশের উন্নয়নে সকলকে সামিল হওয়ার কথা জানান।

আলোচনা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে যারা নিহত হয়েছে তাদের ও যারা দেশের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে শহীদ হয়েছেন সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।