সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন শোক

0
95

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এর ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর থানার ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন।

গতকাল ৯ জুলাই ২০২০ রোজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহারা খাতুন মারা যান (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। অসুস্থ সাহারা খাতুনকে গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়।

এক শোক বার্তায় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন এবং দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনিসহ সকল সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন।

ডিএনসিসির ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন আরো বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারাল। আমরা হারালাম এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এর ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর থানার ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় গত ২ জুন সাহারা খাতুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি সম্পৃক্ত সাহারা খাতুন সবশেষ নির্বাচনেও ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন৷ এ আসনে পরপর তিনবার নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।