পশু কোরবানি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে অনেকেই

0
96

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রাজশাহীতে পশুর হাটে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, হাট থেকে কেনা কোরবানির পশু ও মাংসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা এমন শঙ্কায় পশু কোরবানি দেয়া নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের কারণে কোরবানির পশু ও মাংসে যদি জীবাণু ছড়ায় তা থেকেও প্রাণঘাতি এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কোরবানি উপলক্ষে রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতিতে প্রায়য় তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবারো চালু হয়েছে পশুর সিটি হাট। তবে হাট থেকে কেনা গরুর মাধ্যমেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না এ নিয়ে সংশয় রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, কোরবানির পশু জবাই ও ভাড়া করা কসাইদের দিয়ে কাটায় মাংসের মধ্যেও এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না এমন নানা প্রশ্ন। ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। আর প্রচণ্ড ভিড়ে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। এতে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা মো এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ঝুঁকির মধ্যে পড়বো।’

রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অন্তিম কুমার সরকার ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সাবেরা গুল নাহার বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের কারণে কোরবানির পশু ও মাংসে যদি জীবাণু ছড়ায় তা থেকেও প্রাণঘাতি এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এ অবস্থায় ধর্মীয় রীতি মেনে উন্নত দেশগুলোর মতো অটোমেটেড স্লটার হাউজ বা কসাইখানার মাধ্যমে কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান স্বল্প সময়ে তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন অসম্ভব।

রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্য মাওলানা আবু সাঈদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে নিয়ত ঠিক থাকলে যেভাবেই পশু কোরবানি করা হোক না কেন তা কবুল হবে।

নগরীতে কোরবানি উপলক্ষে উত্তরাঞ্চলের পশুর বৃহত্তম ‘সিটি হাট’ বসছে রবি ও বুধবার। প্রতি হাটে গড়ে প্রায় দেড় হাজার গরু মহিষ উঠছে।