সন্তানের ওজন অতিরিক্ত কম হলে কী খাওয়াবেন

0
110

বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছোট বাচ্চাদের নির্দিষ্ট ওজন থাকা জরুরি। ওজন কম থাকলে বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং শারীরিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে ঘন ঘন অসুখ বিসুখে পড়তে পারে আদরের সন্তান। তাই বাচ্চার ওজন যেন স্বাভাবিক থাকে সেদিকে নজর দেয়া দরকার। তবে ওজন বাড়ানোর জন্য জাংক ফুড, চকলেট, পেস্ট্রি ইত্যাদি খাবারের প্রতি উৎসাহিত করা উচিৎ নয়। এসব খাবারে প্রচুর ক্যালোরি থাকলেও পুষ্টিগুণ প্রায় নেই বললেই চলে। আপনার সন্তানের ওজন যদি অতিরিক্ত কম হয় তাহলে তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যেসব খাবার অবশ্যই রাখবেন জেনে নিন।

আলু
আলু খেতে সাধারণত বাচ্চারা পছন্দ করে। স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়ানোর জন্য আলুর অতুলনীয়। আলুর মধ্যে আছে প্রচুর ক্যালোরি, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডায়েটারি ফাইবার। যে কোনও বয়সের বাচ্চাকে রোজ আলু খওয়াতে পারেন।

ডিম
কমপ্লিট মিল বা সম্পূর্ণ আহার বলা হয় ডিমকে। ডিমের মধ্যে সব ধরনের প্রোটিন ও ভিটামিন বিদ্যমান। এছাড়া একাধিক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট-এ পরিপূর্ণ ডিম। বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর ওজন রাখার জন্য প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়াতে পারেন।

দুগ্ধজাত খাবার
বাড়ন্ত বাচ্চাদের জন্য দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ানো খুবই জরুরি। দুধ, মাখন, চিজ ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ান আপনার বাচ্চাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকায় আপনার সন্তানের হাড় শক্ত হবে। রোজ দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য খেলে তা ওজন বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

মাংস
কম ওজনের বাচ্চাকে প্রতিদিন চিকেন খাওয়াতে পারেন। এর মধ্যে আছে প্রচুর প্রোটিন যা মাসল তৈরিতে সাহায্য করে। বাচ্চার ওজন বাড়ানোর অন্যতম সেরা উপায় হল তাকে চিকেন খাওয়ানো।

ড্রাই ফ্র‌ুটস
সন্তানের ওজন বাড়াতে নানা ধরনের বাদাম ও সিডস খাওয়াতে পারেন। এসব খাবারে প্রচুর মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা ওজন বাড়াতে সহায়ক।

পিনাট বাটার
পিনাট বাটার খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই স্বাস্থ্যকর। ভালো ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ এই খাবার। খেতেও মজাদার হওয়ায় বাচ্চাকে পিনাট বাটার খাওয়াতে কোনো সমস্যাই হওয়ার কথা না।

কলা
কলায় প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায়। ওজন বাড়ানোর জন্য কলা উপকারী। সাধারণভাবে একটি কলায় ১০৫ ক্যালোরি থাকে। ফল ছাড়াও শেক বা ডেসার্ট হিসেবেও আপনার সন্তানকে কলা খাওয়াতে পারেন।