আইন লঙ্ঘন করে মির্জাগঞ্জে শিক্ষক সমিতির কমিটি অনুমোদন

0
98

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ সমবায় আইন লঙ্ঘন করে ঋণ খেলাপি সদস্য দিয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক ও কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৯মে) পটুয়াখালী জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ হারন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত একটি আদেশে শিক্ষক ও কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডরে সদস্য মোঃ আবদুল বারেক কে সভাপতি, আবদুস ছালাম সিকদার ও মোঃ ফরিদ আহম্মেদকে সদস্য করে ১২০ দিনের জন্য অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আবদুস ছালাম সিকদার একজন ঋণ খেলাপি। তিনি মির্জাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক ও কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন থেকে দুই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে সেবা মূল্যসহ তিন লক্ষ একত্রিশ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ না করে খেলাপি হন।

তিনি গত ১২ এপ্রলি সুবিদখালী পুবালী ব্যাংক শাখায় তিন লক্ষ একত্রিশ হাজার টাকার নিজ নামীয় একটি চেক দেন যাহার নং-ঝ ই ২৫-ছ-৯৭১৪৩৯০, হিসাব নং-৪৪৫৭১০১০১৭১৩৯ এবং ২৭ এপ্রিল তারিখে চেকটি নগদায়নের জন্য ব্যাংক কে অনুরোধ করেন। ব্যাংক চেকটি ক্যাশ করতে না পেরে সমিতির ম্যানেজার বাবুল চন্দ্র সিকদারের কাছে চেক ডিজঅনার স্লিপসহ মূল চেকটি ফেরত দেন। ম্যানেজার বাবুল চন্দ্র সিকদার ৯মে প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধের জন্য ত্রিশ দিনের সময়সীমা দিয়ে ঋণ খেলাপি আবদুস ছালাম সিকদারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।এর মধ্যেই জেলা সমবায় কর্মকর্তা সমবায় আইন ও বিধিমালা (ধারা ৩৭, উপধারা ৮৮/৩) লঙ্ঘন করে অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন দেন।

এছাড়াও সমিতির সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান হাওলাদার কমিটিতে কোন ঋণখেলাপি সদস্য কে অনুমোদন না দেওয়ার জন্য জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে বরাবর লিখিত অনুরোধ করেন।

এব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ হারুন-অর-রশীদ সমবায় আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সমবায় আইনের ১৮ ধারা মেনেই কমিটি করা হয়েছে।