তালতলী হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম

0
84

বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।মূমুর্ষ রোগীদের ভর্তির জন্য হাসপাতালে তেমন কোনো যন্ত্রাংশ নেই।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনে করোনা মহামারীর সাথে সাথে ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এ হাসপাতালে ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত ১৩ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর এখন হাসপাতালে যে কয়জন রোগী ভর্তি রয়েছেন সকল রোগীই কিন্ত ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ডায়রিয়া রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আছে।হাসপাতালে গেটের সামনে এক মহিলা রোগী দেখানোর জন্য স্লিপ কাটে।স্লিপ কেটে রোগীরা বিভিন্ন ডাক্তার দেখায়।এদিকে ওষুধ কোম্পানীদের প্রতিনিধি ডাক্তারদের চেম্বারের গেটের সামনে দাড়ানো থাকে।রোগীরা প্রেসক্রিপশন নিয়ে বের হলে ছবি মোবাইলে ধারণ করে থাকে।হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষে ময়লা-অবর্জনাসহ নোংড়া পরিবেশ বিরাজ করছে।অনেক বেডে স্যালাইন দেওয়ার মত স্টান নেই। বেড সংকুল না হওয়ায় হাসপাতালের মেজেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।এ সকল কক্ষ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। রোগীদের ববহৃত টয়লেট বাথরুমগুলো একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাথরুম ব্যবহারের জন্য নেই পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা। এতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সাথে আসা সুস্থ্য মানুষজনও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন।

ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত নুসরাত জাহান (৬) এর বাবা কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ৯ টায় আমার মেয়ে বাড়ীতে বসে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়। আজ (বুধবার) সকাল ৭ টার দিকে আমার স্ত্রী অসুস্থ্য মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসে। সে সময় হাসপাতালে কর্মরত ৫ জন চিকিৎসকের কেহই হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করে আমার স্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানালে আমি সকাল ১০ টার দিকে ডাক্তারা এসে চিকিৎসা দেয়।

তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ফাইজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ১০ জন রোগীই ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

বরগুনা সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসানের সাথে মুঠোফোনে জানতে এ বিষয়ে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞেষ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোনায়েম সাদ মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। মহামারী করোনার মধ্যে রোগীরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসে সঠিক চিকিৎসা ও চিকিৎসক পাবেনা সেটা হতে পারে না। বিষয়টি আমি জেনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।