আট শর্তে সৌদি আরবে শ্রমিকরা চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন

0
109

গাজী আল মামুন, সৌদি আরব: সৌদি আরবের মানব সম্পদ এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আটটি পরিস্থিতিতে কোনো সৌদি প্রবাসী কর্মচারী তার কপিল-এর অনুমতি ছাড়া চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। সম্প্রতি সৌদি আরবে সংস্কার হওয়া শ্রমিক আইন এর প্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দিয়েছে সৌদি মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়।

যে আর পরিস্থিতিতে সৌদি প্রবাসী শ্রমিকরা কফিলের অনুমতি ছাড়াই তাদের চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। সৌদি আরবের সংস্কার হওয়া শ্রম আইন অনুযায়ী পাঁচটি পরিস্থিতিতে একজন প্রবাসী শ্রমিক চাকরি পরিবর্তন করার সুযোগ লাভ করবেন। এছাড়াও একজন চাকরিদাতা চারটি পরিস্থিতিতে নতুন প্রবাসী কর্মচারীর শ্রম সেবা লাভ করতে পারবেন।

যে আটটি পরিস্থিতিতে একজন প্রবাসী শ্রমিক তার মালিকের অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন তা নিম্নে দেওয়া হল।

১/ সৌদি আরবে প্রবেশের পরে তিন মাস কাজ করার পরেও বর্তমান কফিলের সাথে লিখিত কর্মচুক্তি না থাকলে অর্থাৎ এগ্রিমেন্ট না হলে।

২/ একটানা তিন মাস যদি শ্রমিকের বেতন দিতে অসমর্থ হয় তার মালিক।

৩/ মালিক যদি ভ্রমণ জেল অথবা মৃত্যুজনিত কারণে প্রতিষ্ঠান অনুপস্থিত থাকে।

৪/ কর্মচারীর কাজের পারমিট বা রেসিডেন্সি পারমিট ইকামা এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে।

৫/ কর্মচারী যদি মাইক্রো কোন কোন প্রার্থীর ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করতে পারে।

৬/ কর্মচারীর কাছে যদি প্রমাণ থাকে যে তার মালিক মানব পাচারের সাথে জড়িত আছে।

৭/ কর্মচারী ও মালিকের মধ্যে যদি শ্রম আইনে কোনো মামলা চলমান থাকে এবং মালিক অথবা তার প্রতিনিধি আদালতে দুইটি শুনানিতে অনুপস্থিত থাকে।

৮/ কর্মচারীর ট্রান্সফারের বর্তমান মালিকের সম্মতি থাকলে।

এছাড়াও আরও পাঁচটি শর্তে প্রবাসী কর্মচারী চাকরি পরিবর্তনের জন্য সুবিধা পাবেন।

১/ তিনি প্রবাসী একজন বিশেষজ্ঞ হলে।
২/ সৌদি আরবে প্রথমবার প্রবেশের পর বর্তমান মালিকের অধীনে এক বছর কাজ করে থাকলে সেও তার মালিকের অনুমতি ব্যতীত কর্ম পরিবর্তন করতে পারবে।
৩/কর্মচারীর কাছে লিখিতভাবে ওয়ার্ক কন্টাক্ট থাকলে।
৪/ সৌদি মন্ত্রণালয়ের কিওয়া পোর্টালের মাধ্যমে কোন চাকরির প্রস্তাব পেলে।
৫/ বর্তমান কপিলকে চাকরি পরিবর্তনের ব্যাপারে জানানো এবং নির্দিষ্ট সময়ে রেখে অবগত করা।

এছাড়াও চারটি পরিস্থিতিতে কোন মালিক একজন নতুন প্রবাসী কর্মচারীর চাকরি ট্রান্সফার করার জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।

১/মালিকের প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম ও শর্ত মোতাবেক ভিসা প্রাপ্ত হবার যোগ্য হইলে।
২/প্রতিষ্ঠানটি ওয়েজ প্রটেকশন প্রোগ্রামের সাথে সহবস্থান থাকলে।
৩/প্রতিষ্ঠানটি শ্রমশক্তি লিপিবদ্ধ এবং ডিজিটাইজেশন প্রোগ্রামের সাথে সম্মত থাকলে।
৪/ প্রতিষ্ঠানটি স্ব মূল্যায়ন প্রোগ্রামের সাথে সম্মত হলে।