চাকরির প্রলোভনে টাকা হাতিয়ে নিতেন ওরা

0
72

রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ভুয়া চাকরিদাতা তিন প্রতিষ্ঠানের ১৪ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। এসময় চাকরিপ্রার্থী ৪৪ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদে খবর পেয়ে রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালন করে র‌্যাবের একটি দল। অভিযানে ৪টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের ১৪ প্রতারককে গ্রেফতার ও ৪৪ জন ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী উদ্ধার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪টি ভর্তি ফরম বই, ১০টি ভিজিটিং কার্ডের বক্স, ৭০ পাতার চাকরির নিয়োগ ফরম, ৭টি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ৯৭ হাজার টাকা, ৫ টি রেজিস্টার, ১ টি নোট বুক, ১ টি খাতা, ৫২ সেট চাকরিপ্রার্থীর জীবন বৃত্তান্ত, ৮ টি সিল, ২টি পরিচয়পত্র, ৫টি ভুয়া পোস্টিং ফরম জব্দ করে র‌্যাব।

প্রতারণা করা ওই তিন প্রতিষ্ঠান হলো- মোহাম্মাদপুরের আদাবরে অবস্থিত আনোয়ার লজিস্টিক এন্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড, পল্লবীর দিকরা সিকিউরিটি এন্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড ও কাজীপাড়ার আনোয়ারা লজিস্টিক এন্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- বরিশালের মামুন হোসেন বিল্লাল (৩৬), নরসিংদীর উজ্জল মিয়া (২৫), কুমিল্লার শরিফুল ইসলাম (২২), টাংগাইলের সোহাগ খাঁন (২২), পাবনার আমানুল ইসলাম (২২), নোয়াখালীর জাকির হোসেন (২৪), ভোলার রায়হান (২০), চট্টগ্রামের ফোরকান উদ্দীন (৩০), ফরিদপুরের মনিরুল ইসলাম (২৪), পটুয়াখালীর রাহাত হাওলাদার (২৪), লক্ষীপুরের আহাদ (২৫), মুন্সিগঞ্জের আবু রায়হান (২২), রংপুরের সাহিবুর রহমান (২২) ও বরিশালের আলিফ হোসেন (২০)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা র‌্যাবকে জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মধ্য শিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবকদের চাকরি দেয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারক চক্রটি নিরীহ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই প্রতারক চক্রের মুল হোতা বরিশালের মামুন হোসেন বিল্লাল (৩৬)। তার তত্ত্বাবধানে এই ৩টি ভুয়া প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতো। মামুন ছাড়াও পলাতক আরো ৪/৫ জন এই প্রতারণার কাজে জড়িত।

এছাড়াও পলাতকদের গ্রেফতারের জোড় প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতারক চক্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।