প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ছে কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস

0
87
শ্রীনগর-আটপাড়া সড়কের পাশে গাছে কৃষ্ণচূড়া ফুল জৌলুস ছড়াচ্ছে,

আরিফুল ইসলাম শ্যামল: গ্রীষ্মের রুক্ষতা ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে। গাছের ডালপালা জুড়ে শুধুই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। এই ফুলের অপরুপ দৃশ্য যে কারও চোখে ও মনে এনে দিতে পারে শিল্পের দ্যোতনা।

বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জের জনপথে ও স্থানীয়দের বসত বাড়ির আঙ্গিণায় শোভা পাচ্ছে এসব রক্তলাল ফুল সমৃদ্ধ অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছের। চলমান তাপদাহে ঘামঝড়া সময় অতিবাহিত করছে মানুষ। আর এর মধ্যেই অপরূপ মনমুগ্ধকর নজরকারা কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন ভালোবাসার হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পরন্ত বিকালে পথিকরা থোকায় থোকায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থমকে যাচ্ছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার গাছে থোকায় থোকায় ফুলের সমারোহ। সবুজের বুকে শুধুই লালের রাজত্ব। দূর থেকে মনে হয় ময়ূর তার রাঙা পেখম মেলে ধরেছে প্রকৃতির মাঝে। লক্ষ্য করা গেছে, শ্রীনগর-দোহার আ লিক সড়ক, শ্রীনগর-নাগের হাট সড়ক তন্তর সড়ক, শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন বসতবাড়ির পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুলের হাতছানি। কৃষ্ণচূড়া ফুলে ঠাসা গাছের ডালপালা নুয়ে পড়ছে। রোদ-গরমের পরন্ত বিকালে স্থানীয়রা হাঁটতে হাঁটতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে কিছুটা সময় কাটাচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলেন, প্রচন্ড রোদ গরমে বাড়ির বাহিরে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বহুদূর থেকে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখা যাচ্ছে। তাই বিকালে বন্ধুবান্ধব মিলে এখানকার সড়কের পাশে থাকা কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষ আসছে। এই ফুলের সৌন্দর্য কাছ থেকে না উপভোগ করছেন। অনেকেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় সেলফি ও ছবি তুলছেন।

গোয়ালীমান্দ্রা হাটের গাছ বিক্রেতা মো. হোসেন ঢালী নামে এক নার্সারীর মালিক বলেন, তার নার্সারীতে প্রচুর পরিমানে কৃষ্ণচূরা গাছের চারা রয়েছে। শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দীতে তার একটি নার্সারী আছে। তার ভান্ডারে ১০০-৪০০ টাকা দামের কৃষ্ণচূড়ার চারা গাছ রয়েছে। তার ছেলে স্বপন ঢালীও লৌহজং উপজেলার হলদিয়া এলাকায় বিশাল নার্সারী গড়ে তুলেছে।

শ্রীনগর উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা সেলিম হোসেন জানান, কৃষ্ণচূড়া ফুলের জাত মূলত ৩ প্রকার। বেশীর ভাগ লোক এর নাম কৃষ্ণচূড়া হিসেবে জানলেও এর আরেকটি নাম রয়েছে গুলমোহন। এই নামটি অবশ্য সচারাচর শোনা যায়না। জাত অনুসারে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রংয়ের মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা থাকে। কোনও কোনও ফুলের রং অতি গারলাল ও হালকা লাল আরও হলদে হয়ে থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটাকাল থেকে থোকায় থোকায় গাছের ডালে পর্যায়ক্রমে ফুল ফুঁটতে থাকে। সৌন্দর্য বর্ধণে পরিবেশবান্ধব কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশাপাশি অন্যান্য গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।