যে কারণে থামলেন সেই খলিল, বাড়াতে হলো মাংসের দাম

0
119

রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের ন্যায্য ও তুলনামূলক কম দামে মাংস বিক্রি করে বেশ নাম কুড়িয়েছেন খলিলুর রহমান। “দাম কম, বিক্রি বেশি” তার এমন স্লোগানের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল এ ব্যবসায়ী। অন্যান্য ব্যবসায়ীদের তুলনায় কম দামে মাংস বিক্রির কারণে সম্প্রতি প্রাণ নাসের হুমকিও পান তিনি। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বিষয়টির সুরাহা হয়। কিন্তু এতকিছুর পর শেষ পর্যন্ত গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে দিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে পুরস্কার পাওয়া খলিল । বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে খলিল।

পবিত্র রমজানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি ঘোষণা দিলেন যে এ দামে গরুর মাংস আর বিক্রি করতে পারবেন না। বিষয়টি নিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘নানামুখী চাপে আছেন তিনি।’ এখন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৯৫ টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন খলিল।

তবে ‘নানামুখী চাপ’ বলতে তিনি কী বোঝাচ্ছেন তা জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি এখন আর খুব বেশি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই।’ পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে বলে জানান তিনি।

পরে হঠাৎ তার এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইলে খলিল বলেন, ‘খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে পোষাতে পারছিলাম না। লোকসানে পড়তে হচ্ছে। ক্রেতাদের ভিড় অনেক। বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।’

লোকসানে পড়ার কারণ জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, আগে কিছুটা কম দামে গরু কিনতে পারতাম। কিন্তু এখন আর আগের দামে গরু পাচ্ছি না। আমার নিজের যেহেতু খামার নেই, তাই বাড়তি দামে গরু কেনা হলে মাংসের দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকে না।

উল্লেখ্য, গেলো বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো, তখন কম দামে মাংস বিক্রি করে প্রথম আলোচনায় আসেন খলিলুর রহমান। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সম্প্রতি বিশ্ব ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে এই ব্যবসায়ীকে ‘ব্যবসায় উত্তম চর্চার স্বীকৃতি’ দিয়ে পুরস্কৃত করে।