ভারত থেকে পেঁয়াজ-চিনি এনে বিক্রি করবে টিসিবি

0
57
ফাইল ছবি

ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি এনে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে বিপণন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের নিষেধাজ্ঞা ছিল যে চিনি ও পেঁয়াজ কোনো প্রতিবেশী দেশকে দেবে না, সেটি তারা একটু শিথিল করেছে। তারা আমাদের আবেদন সহানুভূতি নিয়ে দেখছে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি, রমজানের আগেই আমরা একটি ইতিবাচক সাড়া পাব। আমদানি করা চিনি ও পেঁয়াজ আমরা টিসিবির মাধ্যমে বিপণন করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ভারত দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। তবে আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ টন চিনি চেয়েছি। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। সামনে তাদের নির্বাচন, তাদের ভোক্তাদের কষ্ট দিয়ে তো আমাদের দেবে না। যতটুকু সহনীয়, তারা ততটুকুই দেবেন।

পেঁয়াজের বাজার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে এই মুহূর্তে মুড়িকাটা পেঁয়াজ রয়েছে। মূল পেঁয়াজ উঠতে মাসখানেক সময় লাগবে। পুরোপুরি ফসল তোলা শেষ হবে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে। টিসিবির মাধ্যমে আমরা যেন বাইরে থেকে পেঁয়াজ এনে বিক্রি করতে পারি, সেই উদ্যোগ নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল এর শুল্ক কমানোর নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, দুটো পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে। একটি চিনি, অন্যটি ভোজ্যতেল। বাজারে যেসব পণ্য নিয়ে বেশি আলাপ হয়, তার মধ্যে এ দুটো। এ বিষয়ে বলছি যে, গত ২২ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বলা হয়েছে, যাতে শুল্ক কমিয়ে দেয়া হয়। এটা আমি এরইমধ্যে বলেছি। গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা স্বস্তি আসবে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এনবিআর চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

এক্ষেত্রে এনবিআর কেন ‍শুল্কহ্রাসের পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তাদেরকেই করার পরমার্শ দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, এখন এনবিআরকে আপনারা প্রশ্ন করেন, যত দ্রুত তারা এটি দেবে, আমার জন্য মার্কেট অপারেশন তত সহজ হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে চিনির যে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আছে, সেটি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের জায়গায় আমরা ৫ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব দিয়েছি। এছাড়া খেজুরের একটা ভ্যালু (মূল্য) ঠিক করা ছিল, আমরা ইনভয়েস ভ্যালুতে (চালান মূল্য) কর নির্ধারণ করার জন্য বলেছি।