খাদিজার মুক্তি বিলম্বের ব্যাখ্যা দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ

0
268

সর্বোচ্চ আদালতের জামিন আদেশের পরও কেন কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারেননি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা। রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানানোর নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। এর ব্যাখ্যা দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

আপিল বিভাগকে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, সন্ধ্যার পর আসামি ছাড়ার নিয়ম নেই তাই রোববার আদেশ পেয়েও কারামুক্ত করা যায়নি খাদিজাকে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোরশেদ সর্বোচ্চ আদালতকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এরই মধ্যে পরীক্ষায় বসেছেন খাদিজা।

পরে এ বিষয়ে আর কোনো আদেশ দেননি আপিল বিভাগ।

এর আগে আজ খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনলে রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজার হাইকোর্টের দেয়া খাদিজার জামিন বহাল রাখেন। রোববার তার জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। পরে সোমবার সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।

তবে রোববার সারা দিন খাদিজার মুক্তির জন্য তার পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু রাত ১১টা পর্যন্ত মুক্তি না পাওয়ায় খাদিজাকে ছাড়াই তারা ফিরে যান।

আজ সোমবার থেকে খাদিজার ২য় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু। তাই মুক্তির পরই জেলগেট থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা হন খাদিজা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বোন সিরাজুম মুনিরা।

অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।

ওই মামলায় গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। সে সময় থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।