শ্রীনগরে আলু-পিয়াজের সাথে পাল্লা বাড়ছে সবজির দাম

0
111

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে আলু-পিয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৌসুমী সব শাক-সবজির দাম। সরকার নির্ধারিত দামে আলুর কেজি ৩৬ ও পিয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রির কথা থাকলেও কোথাও এদামে মিলছেনা এসব পণ্য। বরং খোলা বাজারে দিনদিন সবজির বাজার উর্ধগতির দিকেই যাচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধানে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির ট্রাকসেলে আলুর কেজি ৩৬ টাকা বিক্রির কার্যক্রম চালু করা হলেও কিছুদিন পর থেকে এই কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। শ্রীনগর বাজার সংলগ্ন পোস্ট অফিসের সামনে ট্রাকসেলে গড়ে প্রতিদিন ৩০ মণ আলু বিক্রি করার কার্যক্রম উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাকসেল কার্যক্রমটি এখন বন্ধ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহসিনা জাহান তোরণ। স্থানীয় হিমাগারে আলু সংকটের কারণেই কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানান, উপজেলায় ৬৭৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই অ লে আগাম সবজির বাণিজ্যিক উৎপাদণ এখনও শুরু হয়নি। সবজির উৎপাদণ বাড়লেই স্থানীয় বাজারে সবজির দাম কমবে। এখানে সবজি চাষে সরকারিভাবে কোন প্রণোদনা আসেনা। তবে উচ্চ ফলনসীল সবজি চাষে স্থানীয়দের সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, বর্তমান সবজির খোলা বাজারে সবচেয়ে কমদামে পাওয়া যাচ্ছে একমাত্র কাঁচা পেঁপে। পেঁপের কেজিও ৪০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। আলুর কেজি ৮০ টাকা, দেশী পিয়াজ ১৪০ টাকা ও বিদেশী পিয়াজ প্রকার ভেদে ১১০-১২০ টাক। এছাড়া ৭০-৮০ টাকা নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এদামে নি¤œআয়ের মানুষের পক্ষে সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছেনা। পরিবারের খাদ্য পুষ্টির যোগান দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। সুজন নামে এক আলু ক্রেতা বলেন, আজ আলুর দাম ৮০ টাকা। গতকাল সোমবার ৭০ টাকায় আলুর কেজি বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শ্রীনগর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার কিংবা সড়কের মোড়ে সবজির দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমানে মৌসুমী শাক-সবজির আমদানী রয়েছে। অথচ অধিক দামের ফলে সাধারণ ক্রেতারা প্রয়োজনীয় সবজি সংগ্রহ করতে পারছেন না। ১ কেজি পরিমাণ ওজনের লাউয়ের দাম হাকানো হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা। দোকানীরা মিশরের পিয়াজের কেজি প্রকার ভেদে দাম চাইছে ১০০-১২০ টাকা। ১৫০ গ্রাম ওজনের লাল শাকের আটির দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। শাক বিক্রেতা কাজল মিয়া জানান, গেল টানা বৃষ্টিতে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই সবজির উৎপাদণ কম। খোলা বাজারে দাম একটু বেশী।

মজনু ভান্ডারি, নিজাম বেপারী, আসরফ মিয়াসহ শ্রীনগর বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, পাইকারী বাজারে সবজির মূল্য বেশী। তাই বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দোকানীরা দাবী করেন, কিছুদিন আগেও সবজির দাম বেশী ছিল। শীতকালীন শাক-সবজির আমদানী বাড়ার সাথে সাথে এর দাম কিছুটা কমেছে।