ভারী বর্ষণে ফের ডুবল চট্টগ্রাম, অবরুদ্ধ নগরবাসী

0
138

ভারী বর্ষণে আবারও পানির নিচে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। নগরীর চকবাজার, মুরাদপুর, ফুলতলা ও বহদ্দারহাটসহ ২০ এলাকা ডুবে রয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নাগরিক জীবন। অবরুদ্ধ নগরবাসী। জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি চেয়ে নগরবাসী আকুতি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।

স্থানীয়রা জানান, ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা পানি সড়কে উঠে যায়। ড্রেনেজ-ব্যবস্থা অচল থাকায় পানি সরতে না পেরে অনেক ঘর ও দোকানপাটের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। ঘর থেকে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। পায়ে কিংবা ভ্যানে করে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা নগরবাসীর।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকা মোহরা, হামিদচর, চর রাঙামাটিয়া, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, বাস টার্মিনাল, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, খাজা রোড, মিয়াখান নগর, প্রবর্তক মোড় ডুবে গেছে।

চকবাজারের বাসিন্দারা বলেন, আমরা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। গতকাল রাত থেকে তার ঘর হাঁটুপানিতে ডুবে আছে। জিনিসপত্র সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি না সরায় ঘরের পানি বাইরে বের করা যাচ্ছে না। ঘরে পানি। সব জায়গায় পানি।

এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে রোববার সকালে সময়মতো কেন্দ্রে যেতে না পারায় বিপাকে পড়েছিল এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। যদিও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা ১০টার পরিবর্তে এক ঘণ্টা পিছিয়ে ১১টায় করা হয়।

হাঁটু বা কোমর সমান পানিতে ডুবেছে দোকানপাট। দোকানে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে জিনিসপত্র। পানিতে আটকে নষ্ট হয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। তবে এ সময় আয় বেড়েছে রিকশা ও সিএনজি চালকদের।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে তিন সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। যদিও সংস্থাগুলোর মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের খেসারত দিতে হচ্ছে ৬০ লাখ নগরবাসীকে। ২০ দিন আগের জলাবদ্ধতায়ও ডুবেছিল পুরো শহর।