স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় এসে স্বামীর আত্মসমর্পন

0
118

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার শেফালী খাতুন (২২) নামের স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পন করেছে স্বামী মহসীন আলী (২৭) ।

শনিবার (৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় শেফালীর হাতে থাকা একটি চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ।

মহসীন আলী নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৪ বছর আগে মহসীন আলীর সঙ্গে গাইবান্ধার মোল্লাপাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালী খাতুনের বিয়ে হয়। মহসীন আলী কোনো কাজকর্ম করত না। পারিপারিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। পাশাপাশি শেফালীর কোনো সন্তান না হওয়ায় মহসীন ক্ষুদ্ধ ছিল। এরই একপর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঝগড়াঝাটির পর মহসীন আলী তার স্ত্রীর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে শেফালীকে হত্যা করে। পরে এটিকে ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে প্রচার করতে মরদেহ শয়নকক্ষের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে মহসীন।

স্থানীয়রা জানায়, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শেফালীর হাতে একটি চিরকুট ছিল। এতে লেখা ছিল—আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, কারো কোনো দোষ নেই। এরপর মহসীন প্রতিবেশীদের জানিয়ে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাদুল্লাপুর থানায় আসেন।

এসময় তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, এটি একটি খুনের ঘটনা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্বামী অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল। তিনি তার স্ত্রীকে চারিত্রিকভাবে সন্দেহ করতো। এছাড়াও স্ত্রী ‘কুফরী কালাম’ করত, যা তার পছন্দ ছিল না। এসব কারণে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করে। তবে পুরো ব্যাপারটিকে আরও ব্যাপকভাবে তদন্ত করা হবে।

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ওই চিরকুটটি মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের উপর থেকে সন্দেহ সরাতে সে ওই কাজটি করেন। পুলিশ ব্যাপারটি আরও খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।