বালাসীঘাটে নৌ চলাচল শুরু, পানি বাড়লে চলবে লঞ্চ

0
143

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা হারিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে গন্তব্যে আসা-যাওয়া মানুষ বালুচর দিয়ে হেঁটে চলাফেরা করতো।

এরই মধ্যে নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালাসীঘাট থেকে আবারও শুরু হয়েছে নৌ চলাচল। ইতোমধ্যে এই ঘাট থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটের উদ্দেশে নিয়মিত চারটি সময়ে চলছে যাত্রীবাহী নৌকা। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে৷

সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বালাসীঘাটের লঞ্চ ও নৌকা ইজারাদার মালিক কর্তৃপক্ষ। নদীর পানি আরও বাড়লে লঞ্চ চলাচলও শুরু হবে বলে জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে প্রতিদিন রংপুর, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ নদীতে নৌকাযোগে তাদের গন্তব্যস্থলে ছুটে থাকে। তবে শুকনো মৌসুমে নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে বালাসীঘাট থেকে প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নদী সরে যাওয়ায় খেয়া পার হয়ে, কখনও হেঁটে কখনও বা ঘোড়া গাড়িতে করে লঞ্চ ও নৌকায় উঠে যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হতো। এতে করে যাত্রীদের অতিরিক্ত অর্থ ও সময় দুটোই ব্যায় হয়।

বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালাসীঘাটের রাস্তার কাছ থেকে দেওয়ানগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাটের উদ্দেশে সকাল থেকে নিয়মিত চারটি সময়ে চলছে যাত্রীবাহী নৌকা।

ইতোমধ্যে নদের পানি বেড়ে বালাসীঘাট তার চিরচেনা রূপ কিছুটা ফিরেছে। এতে করে ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেল যাত্রীরা। তবে কাঙ্খিত মাত্রায় নদীর পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় এই বর্ষাকালে কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টিতে রোদের প্রখরতা ও ঝড় বৃষ্টির ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা নৌযাত্রী আব্দুল আজিজ বলেন, কিছুদিন আগে মেইন ঘাট হতে নদী অনেক দূরে ছিল। এতে করে খেয়া পার হতে হতো ও বালুচর হেঁটে বা ঘোড়া গাড়িতে পারি দিয়ে নৌকা ও লঞ্চে উঠতে হতো। এখন মেইন ঘাটে পানি আসায় ঘাটে নামামাত্র নৌকা পেয়ে খুব ভালো লাগলো।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তাহারুল ইসলাম বলেন, গত বছর নদী দূরে ছিল। লঞ্চে গিয়েছিলাম। এখন লঞ্চ পাচ্ছি না। এখন নদী কাছে এসেছে। তবে কর্তৃপক্ষ যদি নদীটা ঠিকমতো খনন করত তাহলে আমারা যাত্রীরা সেবা ভালো পেতাম।

গাইবান্ধার বালাসীঘাটের নৌকা ও লঞ্চ ইজারাদার মালিক কর্তৃপক্ষ পাপুল সরকার বলেন, নদীঘাট এখন বালাসীর মূল পয়েন্টে রয়েছে। এর আগে লঞ্চ চালাতেন। এরই মধ্যে হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে চর ডুবে যাওয়ায় ঘাটের কাছে চলে এসেছে। এখন পূর্ণাঙ্গভাবে ঘাটের মূল পয়েন্ট চলে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে লঞ্চ চলাচল শুরু হবে আশা করছি। এখন সকাল ১০টায়, ১২টায়, দুপুর আড়াইটায় ও বিকেল ৪ টায় নিয়মিত নৌকা চলাচল করছে৷ যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে নৌকায় লাইফ জ্যাকেট, বয়া ও পলিথিন রেখেছি।