ইউক্রেন বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো জি-২০ সম্মেলন

0
88

চীন সরাসরি কোনো অবস্থান নিতে অস্বীকার করায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন। ভারতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনটিতে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনো ধরনের মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।

আল-জাজিরার জানায়, বিনাশর্তে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের সম্মিলিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে রাশিয়া এবং চীন। ফলে এ বিষয়ে কোনো ধরনের ঐকমেত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

সম্মেলনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের উদ্দেশে বলেন, ‘জনাব ল্যাভরভ, এই যুদ্ধ বন্ধ করুন। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন বন্ধ করুন। ইউক্রেনের শহর এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন।’

ল্যাভরভ তার বক্তব্যে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ভণ্ডামি করছে বলে অভিযুক্ত করেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পশ্চিমারা বছরের পর বছর ধরে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রকাশিত মন্তব্য অনুসারে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সম্মেলনে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদারে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার বর্ণনা দিয়ে। তবে তিনি বৈঠকে স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ অসম এবং এমনটা চলতে পারে না।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেছেন যে, একেক দেশ ভিন্ন মত পোষণ করায় ইউক্রেন নিয়ে জোটের দেশগুলোর মধ্যে যে মতানৈক্য ছিল, তা দূর করা যায়নি। তবে অন্যান্য অনেক বিষয়ে জি-২০ জোটের দেশগুলো সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির জোটের সদস্য দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উদ্বেগের সঙ্গে জড়িত বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে। যেমন- বহুপাক্ষিকতাবাদকে শক্তিশালী করা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গ বৈষম্য ও সন্ত্রাসবাদ দূরীকরণ।’

সম্মেলেনে দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে এক ভিডিও ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ঋণ সংক্রান্ত চুক্তিগুলোকে বিপদে না ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন।