আমনের পোকা দমনে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা

0
88

এম এ ইউসুফ আলী,রাঙ্গাবালী(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ। কৃষকের স্বপ্নের আমন সফলের রোগ বালাই ও পোঁকামাকড় থেকে রক্ষা করতে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।দিগন্তজোড়া সফলের মাঠে সবুজ ধানের চারাগুলো দক্ষিণা বাতাসে দোলা দিয়ে যাচ্ছে । তাই দেখে কৃষকের মন আনন্দে নেচেঁ ওঠছে।

রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বীজতলা তৈরি এরপর ক্ষেত চারা রোপনের উপযুক্ত করেছেন তারা। অবশেষে ধানের সবুজ পাতাগুলো আশার আলো দেখিয়ে দোলা দিচ্ছে দক্ষিণা বাতাসে। কৃষকের ঘড়ে আমন ধান উঠতে এখনো কয়েক মাস বাকি। আমনের ভাল ফলনের আশায় কৃষকরা মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। রোগ বালাই ও পোঁকামাকড় থেকে তাদের কষ্টের ফসলের ক্ষেতকে রক্ষায় আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। কৃষক কৃষাণীর অক্লান্ত পরিশ্রমে ঘড়ে ওঠে ইরি ও বোরোসহ নানা রকম ধান। এ ধান-চাল দিয়েই চলে এ উপজেলার অধিকাংশ কৃষকদের জীবন-জীবিকার চাঁকা। নতুন ধান ঘড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তাদের ধান ক্ষেতে। কৃষকের স্বপ্ন ভাংতে মাঠে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরণের পোঁকার আক্রমণ।এ সব পোঁকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষকরা ছুটছে বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে।দোকানদারদের দেওয়া বিভিন্ন ঔষধ স্প্রে করছেন কৃষকরা । এ ঔষধে কোন কোন ক্ষেতে কাজ হলেও আবার কোন কোন ক্ষেতে ভাল কাজ হচ্ছেনা।তাই চিন্তার মাঝে দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা।তবুও বুকের মাঝে বড় স্বপ্ন নিয়ে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তাদের রোপনকৃত ধানের ক্ষেতে।

উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মোঃ মোস্তফা অকন বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমন ধান ভাল হবে ইনশা আল্লাহ। এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে চাষাবাদ করতে আমাদের খুবই উপকার হয়েছে।

ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের আমন চাষী মোঃ নিজাম হাওলাদার বলেন,যদিও অতি বৃষ্টির কারণে আমাদের বীজ পচেঁ গিয়েছিল,তাই বীজ রোপনে একটু দেড়ি হয়েছে। ত্রপর ধানের রোপা অনেক ভালোই হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন পোকার আক্রমণের জন্য অনেক কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জিহাদ বলেন,আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন রকমের ধানের পোকা দমনে সচেতন করছি।আমন ধানের পোকা দমনে কি কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে সেই পরামর্শগুলো দিচ্ছি। তবে আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে আমন ধানের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।