৫ দিন পর শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় মামলা, আসামি অজ্ঞাত


পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে (৫৫) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার পাঁচদিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) নিহত মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার রীপা বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিবি ইতিমধ্যে হত্যায় অংশ নেওয়া দুই শ্যুটারসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ফারুক ওরফে কুত্তা ফারুক, রবিন, ইউসুফ, রুবেল এবং শামীম। পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেপ্তার ফারুক ও রবিন পেশাদার শ্যুটার এবং গ্রেপ্তারের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল, হত্যার পারিশ্রমিক হিসেবে নগদ টাকা ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনি। রনি একসময়ের মুদি দোকানি, বর্তমানে কাফরুলের বাসিন্দা এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী। ইমন-মামুন জুটির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য এবং প্রকট। হত্যাকাণ্ডের জন্য রনি নিজে দুই লাখ টাকা প্রদান করেছেন এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছেন। রনি এখনও পলাতক।
এর আগে ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে তারিক সাইফ মামুনকে হত্যা করা হয়। তার আগে দুই বছর আগে তেজগাঁও এলাকায় হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। মামুন ২০২৩ সালে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০ বছরের বেশি সময় জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান। জামিনের তিন মাসের মাথায় ১৮ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে তার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়।
ইমন ও মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাদের গঠিত বাহিনীর নাম ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তারা চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।



