ঘোড়াঘাটে মিশ্র বাগানে ফলের সমারোহ

0
226

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বাণিজ্যিক ভাবে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলে আর্থিক ভাবে সফলতা পেয়েছেন সাহাবুল ইসলাম।

ঘোড়াঘাট উপজেলার লালমাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাহাবুল ইসলামের মিশ্র বাগানের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সাইজের মাল্টা, পেঁয়ারা, কাটিমন আম, কাশ্মেরি কুল, কলা, লটকন, ড্রাগন, সৌদি খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের ফল। যা সবুজ পাতার আড়ালে কিংবা পাতা ঝড়া ডালে ঝুঁলছে। এ যেন ফলের সমারোহ। তার এ সফলতা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে উপজেলার অনেক বেকার যুবকরা মাল্টা চাষে ঝুকছেন।

২০১৪ সালে সাহাবুল ইসলাম উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় লালমাটি গ্রামে ৩ বিঘা জমিতে ১৮৫টি চায়না-থ্রি লিচু চারা রোপন করে সফলতা পায়। এরপর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কৃষি অফিসের পরামর্শে আরও ৫ বিঘা জমিতে মাল্টা সহ বিভিন্ন জাতের ফল গাছ দিয়ে মিশ্র বাগান গড়ে তোলেন। তার মিশ্র বাগানে মাল্টা ৪৩০টি, থাই পেঁয়ারা ২৬০টি, কমলা ৬২টি, থাই বারো মাসি আম ৯০টি, বারি-১১ বারোমাসি আম ১০টি, কাশ্মীরি কুল ২০০টি, ড্রাগন ৫০টি, লটকন ২৫টি, সৌদি খেঁজুর ৪৩টি, রাম বুতান ৬০টি ও লিচুর ২৫১টি গাছ রয়েছে। রয়েছে কলা, আখসহ আরও কিছু ফলের গাছ। এসব বৈচিত্র্যময় ফলের মধ্যে একটি মাল্টা। এ বাগানে ৪৩০টি গাছে ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা। চলতি বছরেও মাল্টা বিক্রি করে লাভবান হবার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

এ বিষয়ে মোঃ সাহাবুল ইসলাম বলেন, প্রথম গাছে মাল্টা ধরার পর থেকে ফল চাষের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন জাগে। এখন চলছে স্বপ্ন পূরণের পালা। এখন আমার খরচ বাদ দিয়ে বাৎসরিক ২.৫ লক্ষ টাকা আয় হয়।
তিনি আরও জানান চলতি মৌসুমে মাল্টার ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে বাজারে মাল্টা প্রতি মন ২৭০০-২৮০০ টাকা এবং কাটিমন আম প্রতি কেজি ৪শ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এখলাস হোসেন সরকার জানান, এসব উঁচু জমিতে মাল্টা সহ বিভিন্ন মিশ্র ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চাষি সাহাবুল ইসলাম। তাকে অনুসরণ করে এলাকার অনেকেই এখন মিশ্র ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষীদের সহযোগীতা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।