পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে

0
202

পুলিশের আরও একজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এবারও কারণ হিসেবে জনস্বার্থের কথাটি জানানো হয়েছে। তবে কী সেই স্বার্থ সেটি উল্লেখ করা হয়নি।

বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অবসরে পাঠানো হয় পুলিশ সুপার মো. আলী হোসেন ফকিরকে।

অবসরে পাঠানোর আগে তাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়। এর আগে তিনি খুলনা তৃতীয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন- এপিবিএনের অধিনায়ক ছিলেন।

এ নিয়ে গত এক মাসে পুলিশের ছয়জন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হলো। সবার ক্ষেত্রেই কারণ হিসেবে জনস্বার্থের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আগের দুটি প্রজ্ঞাপনের মতো ফকিরকে অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারায় বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তার চাকরির বয়স ২৫ বছর হলেই তাকে অবসরে পাঠাতে পারে সরকার। এ ক্ষেত্রে কোনো কারণ ব্যাখ্যা করার বাধ্যবাধকতা নেই।

গত ১৬ অক্টোবর প্রথম বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় তথ্যসচিব মকবুল হোসেনকে। আচমকা এই আদেশ জারির পেছনে কী কারণ, এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার মধ্যে দুদিন পর অবসরে পাঠানো হয় সিআইডির মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী ও মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং পুলিশ অধিদপ্তরের মো. শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরীকে। তারাও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ছিলেন।

এরপর ৩১ অক্টোবর অবসরে পাঠানো হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির পুলিশ সুপার আলমগীর আলম ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মাহবুব হাকিমকে।

শুরু থেকেই সরকার এই বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিল। তবে ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে এক প্রশ্নে বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। চাকরির ২৫ বছর বয়স হলে যদি কারও কর্মদক্ষতার ঘাটতি পড়ে যায়, দেশপ্রেমে ঘাটতি পড়ে যায়, তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।’

তবে কর্মকর্তার দেশপ্রেম ও কর্মদক্ষতায় কী ঘাটতি পড়েছিল, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।