সব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র বাংলাদেশি হতে যাচ্ছেন সাকিব

0
117

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা বাংলাদেশী একমাত্র ক্রিকেটার হবেন সাকিব আল হাসান। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের জন্য ১৫ সদস্যের দলর ঘোষনার পরই এটি একরকম নিশ্চিত হওয়া যায়।

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আসর দিয়ে শুরু হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যাত্র। প্রথম আসরে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন সাকিব। দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ১৫ বছর পরও দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ই আছেন সাকিব।

এই তালিকায় নাম ওঠার সুযোগ ছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরও। কিন্তু বিশ^কাপের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের দলে রাখা হয়নি রিয়াদকে। এছাড়া এ মাসেই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেন মুশফিকুর রহিম। অবসর না নিলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেলে সাকিবের পাশে বসতে পারবেন মুশফিক।

ক্রিকেট বিশ্বে এমন কীর্তি খুব কম খেলোয়াড়েরই আছে। ভারতের রোহিত শর্মা, দিনেশ কার্তিক ও সাকিব আল হাসান এখন পর্যন্ত এ দৌঁড়ে আছেন।

২০০৬ সালে অভিষেক হয় সাকিবের। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টির দলে ছিলেন সাকিব ও মুশফিক। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের পরপরই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশি। ফলে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে এখন সবচেয়ে দীর্ঘদিন খেলা ক্রিকেটার সাকিব।

এবার বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাকিবের নেতৃত্বে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সেই বিশ্বকাপে দু’টি ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ।

বিশ^ মঞ্চে বাংলাদেশের সাফল্য না থাকলেও, সাকিবের ব্যক্তিগত অর্জন অসাধারণ। ৩১টি ম্যাচে ২৬ দশমিক ৮৪ গড়ে ৬৯৮ রান করেছেন সাকিব। বল হাতে ১৭ দশমিক ২৯ গড়ে ৪১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫০০-এর বেশি রান এবং কমপক্ষে ৩০ উইকেট নেয়া দুই ক্রিকেটারের মধ্যে একজন সাকিব। ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা খেলছেন তাদের মধ্যে এই রেকর্ডে রাজত্ব করছেন তিনি। অবসর নেয়া পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি ৫৪৬ রান এবং ৩৯ উইকেট নেন।