ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

পরিমল চন্দ্র বসুনিয়া,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী এস সি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নরন্নবী নুরু নামে এক ল্যাব সহকারীর বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অপমান সইতে না পেয়ে বিষ পানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী।

বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসূল। এর আগে ২ মার্চ দুপুর দুইটার দিকে ওই উপজেলার মুশরত মদাতীর ৬ নম্বর ওর্য়াডের মোকছুদার রহমানের বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন শিক্ষক নুরন্নবী নুরু। ফলে নিরুপায় হয়ে ২০ মার্চ সকাল বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রীটি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

অভিযুক্ত শিক্ষক ওই উপজেলার মুশরত মদাতী (৬ নম্বর ওর্য়াড) এর আইয়ুব আলীর ছেলে। সে ভোটমারী এস.সি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন এবং এলাকায় বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ান বলে জানা গেছে। ছাত্রীটিও একই এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মকছুদার রহমানের বাড়িতে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ান শিক্ষক নুরুন্নবী নুরু। ছাত্রীটিও সেখানে তার কাছে প্রাইভেট পড়তো। এমতাবস্থায় ২ মার্চ দুপুর দুইটার দিকে ওই ছাত্রীকে সাজেশন দেওয়ার কথা বলে ডাকে নুরুন্নবী। ছাত্রীটি সাজেশনের জন্য গেলে বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিক্ষক তাকে একটি রুমের ভেতর নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ছাত্রীটি চিৎকার চেচামেচি করলে তাকে ছেড়ে দেন শিক্ষক নুরুন্নবী নুর। পরে ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাসায় গিয়ে সহপাঠীসহ বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নুরন্নবী নুরুর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে ভোটমারী এস.সি দ্বী-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি বসে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন বলে জানান।

লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) গোলাম রসুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে আমি মেডিকেলে গিয়ে কয়েকবার ছাত্রীটির সাথে কথা বলে তার খোজখবর নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।