নীলফামারীতে রাজমিস্ত্রির ধর্ষণে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী
মোঃ ফরহাদ হোসাইন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় রাজমিস্ত্রির একাধিকবার ধর্ষনের ফলে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সালমা (ছদ্মনাম) (১৭)। সৈয়দপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন কিশোরীর বাবা।
রবিবার (২০ মার্চ) সৈয়দপুর থানায় করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার অন্তর্গত পাটোয়ারি পাড়া এলাকার এক দিনমজুর এর চার মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। অন্য তিন মেয়েকে বাড়িতে রেখে স্বামী-স্ত্রী সকালে কাজে বেড়িয়ে যায় এবং রাতে ফেরে।
দ্বিতীয় মেয়ের সম্প্রতি তার শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে গত ১৫ মার্চ সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের প্রসূতি ও গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান মেয়েটি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এমতাবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি বাবা-মা কে জানায়, গত বছরের ৫ জুলাই বাড়িতে মেরামতের কাজ করার সময় রাজমিস্ত্রি সোলায়মান (২৫) তাকে একা পেয়ে নানা লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে ২০০-২৫০ গজ দক্ষিণে জনৈক মাদারীর বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে।
এরপর এই ঘটনা কাউকে না জানোর জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও একাধিকবার একই স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু বিয়ে করার প্রলোভনে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। এখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিয়ের জন্য বার বার চাপ দিলেও সোলায়মান তাতে রাজি না হয়ে উল্টো অভিযোগ অস্বীকার করছে।
এতে দিনমজুর অসহায় পরিবারটি বিচারের দাবীতে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিগত ৫ দিনে কোন সুরাহা পায়নি। বরং নানা ধরণের হুমকি ধামকির পেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও হতাশার মধ্যে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মেয়ের বাবা-মা। মামলা নং- ১৭, তারিখ-২০/০৩/২০২২ ইং। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি সোলায়মান পলাতক রয়েছে। সে উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের পাটোয়ারিপাড়ার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধন /০৩) এর ৯ (১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহনের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে। আসামী গ্রেফতারে তৎপরতা চালানো হয়েছে।