রেজা কিবরিয়ার করফাঁকির অভিযোগে আয়কর বিভাগের চিঠি

0
100

গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক এবং আওয়ামীলীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ কিবরিয়ার পুত্র ডঃ রেজা কিবরিয়ার আয়কর নথিতে গড়মিল এবং করফাঁকির ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর বিধির ৯৩ ধারা মোতাবেক বৃহস্পতিবার এ নোটিশ দেয়া হয় বলে এনবিআর এর একটি সুত্রে জানা যায়।

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় ডঃ রেজা কিবরিয়ার দেয়া তথ্যানুসারে, ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি, ধানমণ্ডিতে উত্তরাধিকারসুত্রে প্রাপ্ত জমির বিনিময়ে ১৪ টি ফ্লাট রয়েছে। ফ্লাটগুলো হস্তান্তর হয়নি। এ ছাড়া পৈত্রিকসুত্রে গুলশানে একটি ফ্লাট রয়েছে।

প্রদত্ত তথ্যমতে, রেজা কিবরিয়া শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে বার্ষিক ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং পরামর্শক খাত থেকে আয় করেন ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮০ টাকা। তার নামে ব্যাংকে ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, স্টক একচেঞ্জে ১৭ লাখ টাকা, বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৪০ লাখ টাকা, গাড়ি অর্জনকালীন মূল্য ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণ সহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু অর্জনকালীন মূল্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ টাকা, আসবাবপত্র অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। সে সময় হবিগঞ্জের সবচেয়ে ধনী প্রার্থী রেজা কিবরিয়া শিরোনামে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, একাধিক ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন, বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমান আর্থিক লেনদেন এবং অর্ধ কোটি টাকার শেয়ার থাকলেও তিনি আয়কর নথিতে তা গোপন করেছেন। এছাড়া বিদেশি অনুদান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধানমণ্ডি গুলশানের নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত বিপুল আয় গোপন রেখে জনাব রেজা বরাবরই সর্বনিম্ন কর দেন। সম্পদ গোপন, মানি লন্ডারিং ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নোটিশ জারি করা হতে পারে বলে ধারনা করা হয়।

ধানমণ্ডিতে সরেজমিনে খোঁজ নিলে জানা যায়, বহুতল ভবনের ১৪টি ফ্লাট ২০১৯ সালে রেজা কিবরিয়ার নামে মালিকানা হস্তান্তর হয়। প্রতিটি ফ্লাটের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮০ হাজার হিসাবে জনাব রেজা ১৪ টি ফ্লাট থেকে বছরে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা ভাড়া আদায় করেন বলে ভাড়াটিয়ারা জানান।

এছাড়া ২০১৫ সাল থেকে ইনেট্রো হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত হিসেবে নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক, অংশীদার ও পরিচালক হিসেবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন রেজা কিবরিয়া।