আহছানুুল আমীন জর্জ, খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার রুপসা ফেরীঘাট এলাকায় নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শিশুর মা সালমা বেগম ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব-৬ ।
২৩ নভেম্বর সোমবার খুলনার রুপসা ফেরীঘাট সংলগ্ন চর রুপসা গ্রামের বাবুর চায়ের দোকানের পাশে নদীর পাড়ে বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় একটি নবজাতক কন্যা শিশুর লাশ পাওয়া যায়। কে বা কারা উক্ত নবজাতক কন্যা শিশুর লাশটি রাতের আধারে রুপসা ফেরীঘাট এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও জনমতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ কর্তৃক উক্ত নবজাতক কন্যা শিশুটির লাশ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।ত এ ঘটনায় তথ্য প্রাপ্তির সাথে সাথে র্যাব-৬ ( স্পেশাল কোম্পানী ) খুলনা’র গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং নবজাতকটির লাশ দেখে এই ঘটনার সাথে নবজাতকের মার সম্পৃক্ততার কথা সন্দেহ করা হয়।
র্যাব – ৬ সদস্যরা ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্তকরনের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা আরো জোরদার করে। এক পর্যায়ে অপরাধীদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয় এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য জোরদার আভিযানিক তৎপরতা শুরু করে। অভিযানের এক পর্যায়ে মৃত নবজাতক কন্যা শিশুর মাতা ও তার সহযোগী জেলার রুপসা থানাধীন বাগমারা গ্রামস্থ হায়দার মাস্টার-এর ভাড়াটিয়া ময়না বেগম এর বাসায় অবস্থান করছে। এরুপ প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে নবজাতক কন্যা শিশুর মাতা মোছাঃ সালমা বেগম এবং তার সহযোগী পু্স্প বেগম ওরফে লিপি (৪০), স্বামী-মোঃ শামীম শিকদারকে আটক করেন।
আটককৃত মৃত নবজাতক কন্যা শিশুর মাতা মোছাঃ সালমা বেগম’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ২২ নভেম্বর রাত আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকায় তার নিজ বাড়িতে মাতৃত্বকালীন প্রসব ব্যাথ্যা শুরুহলে উক্ত নবজাতক কন্যা শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। পরবর্তীতে তার প্রতিবেশী খালা পুষ্প বেগম এর সহযোগীতায় নবজাতক কন্যা শিশুটিকে খুলনা জেলার রুপসা থানাধীন রুপসা ফেরীঘাট সংলগ্ন চর রুপসা গ্রামের জনৈক বাবুর চায়ের দোকানের পাশে নদীর পাড়ে ফেলে আসে।আটককৃতদের খুলনা জেলার রুপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।