বাজারে এলো রিয়েলমি ৭ প্রো

0
106

অনন্য ফিচার নিয়ে আকর্ষণীয় দামে স্মার্টফোন এনে তরুণদের থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে রিয়েলমি। সম্প্রতি দেশের বাজারে সেরা চার্জিং সুবিধার রিয়েলমি ৭ প্রো নিয়ে এসেছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। ফ্ল্যাগশিপ ও মিডরেঞ্জের মধ্যে পার্থক্য ঘুচিয়ে, ব্যবহারকারীর ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রিয়েলমি নিয়ে এসেছে নতুন স্মার্টফোন রিয়েলমি ৭ প্রো।

দেখে নেয়া যাক, ফোনটিতে আর কী কী সুবিধা নিয়ে এসেছে রিয়েলমি। সনি সেন্সরের কোয়াড ক্যামেরা

কোয়াড ক্যামেরা সেটআপের রিয়েলমি ৭ প্রো’র ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স৬৮২ সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো এবং ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট সেন্সর।

সনি আইএমএক্স৬৮২ এর রয়েছে অবিশ্বাস্য লাইট-সেন্সিং দক্ষতা এবং এর ১/১.৭৩ ইঞ্চি সুপার লার্জ সেন্সরের কারণে ছবি হবে উজ্জ্বল।

স্মার্টফোনটির ১১৯ ডিগ্রি ফিল্ড অব ভিউ ব্যবহারকারীদের ল্যান্ডস্কেপ, আর্কিটেকচার কিংবা বড় গ্রুপ ছবিতে কারও বা কোনো কিছুর বাদ পড়ার দুশ্চিন্তা ছাড়াই অসাধারণ ছবি তোলার সুযোগ করে দিবে।

ফোনটির আল্ট্রা ম্যাক্রো লেন্সে ব্যবহারকারীরা ম্যাক্রো ছবি তুলতে বিষয়ের আরও অনেক কাছে যেতে পারবেন— মাত্র ৪ সেন্টিমিটার দূর থেকে মাক্রো ফটোগ্রাফির সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে পারবেন।

নতুন কালার ফিল্টার সিস্টেমের কারণে পোর্ট্রেট লেন্সে আরও আলো গ্রহণ করে প্রাইমারি লেন্সে আরও ভালো ছবি ধারণ করতে পারবে এবং টেক্সচার থেকে পোর্ট্রেট করার ক্ষেত্রে রেট্রো স্টাইল ইমেজ তৈরি করবে।

অসাধারণ সিনেম্যাটিক ভিজ্যুয়াল এফেক্ট আনার মাধ্যমে এআই কালার মোড ভিডিওতে থাকা সবাইকে হাইলাইট করবে।

রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে রিয়েলমির সবচেয়ে বেশি রেজ্যুলেশনের ফ্রন্ট ক্যামেরা। এর এআই বিউটিফিকেশন সমৃদ্ধ ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায় ঝকঝকে বিউটি শট নেয়া যাবে। অন্ধকারেও এর সুপার নাইটস্কেপ মোড ব্যালেন্স এক্সপোজার ও চমৎকার ডিটেইলে ব্যবহারকারীদের উজ্জ্বল সেলফি তোলার সুযোগ করে দিবে।

নাইটস্কেপ মোডে শাটার, আইএসও সহ অন্যান্য প্যারামিটারের সামঞ্জস্যের মাধ্যমে নিজেদের নাইট ফটোগ্রাফি দক্ষতাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এ স্মার্টফোনটিতে চমৎকার ফোর-কে ভিডিও করা যাবে।

তরুণদের সারাদিনের ব্যবহারের জন্যে ৬৫ ওয়াট সুপারডার্ট চার্জিং রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে ৪,৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের বিশাল ব্যাটারি, যাতে সারাদিন ব্যবহারের পরেও পুরো একদিন চার্জ থাকবে। আর চার্জ ফুরিয়ে এলে বা চার্জ দিতে ভুলে গেলেও সমস্যা নেই।

আছে ৬৫ ওয়াটের সুপারডার্ট চার্জিং সুবিধা আর এ দিয়ে মাত্র ৩৪ মিনিটে চার্জ হবে পুরো ব্যাটারি, যা নতুন এ স্মার্টফোনটিকে বাজারের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে চার্জ হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় নিয়ে এসেছে।

মাত্র ১২ মিনিটে ফোনটির ব্যাটারি ৫০ শতাংশ চার্জ হবে। এছাড়াও, মাত্র তিন মিনিটেই চার্জ হবে ১৩ শতাংশ- যা দিয়ে তিন রাউন্ড পাবজি খেলা যাবে (১.২২ ঘণ্টা), ২ ঘণ্টা ইন্সটাগ্রাম ব্রাউজিং, ইউটিউব দেখা যাবে আড়াই ঘণ্টা এবং ফোন স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখা যাবে ৪ দিন।

রিয়েলমি ৭ প্রো’র ৪,৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিতে রয়েছে ডুয়াল ২২৫০ মিলি অ্যাম্পিয়ার সেল, যা ফাস্ট চার্জিং এমসিইউ এর অধীনে একইসাথে ১০ ভোল্ট ৬.৫ অ্যাম্পিয়ারে চার্জ হবে।

চার্জের গতি ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ফোন চার্জ দিতে সঠিক ভোল্টেজ নিশ্চিতে চার্জ পাম্প ব্যবহার করে সুপার ডার্ট চার্জ। অতিরিক্ত গরম হওয়া প্রতিরোধে এবং বৈদ্যুতিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে চার্জের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

এমনকি হেভিং গেমিংয়ের সময়েও খেলায় বিরতি দেয়া ছাড়াও ৬৫ ওয়াটের সুপার ডার্ট চার্জ ডিভাইসের ব্যাটারি মাত্র ৩০ মিনিটে ৪৩ শতাংশ বাড়াবে।

এছাড়াও স্মার্টফোনটি ১৮ ওয়াটের পিডি/কিউসি চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড সাপোর্ট করবে, ফলে অধিকাংশ চার্জারের মাধ্যমে রিয়েলমি ৭ প্রো চার্জ দেয়া যাবে।

শক্তিশালী চার্জিং ফিচার ও ব্যাটারি ছাড়াও, রিয়েলমি ৭ প্রো অন্যান্য ক্যাটাগরিতেও অলরাউন্ডার পারফরমেন্স। রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি চিপসেট।

আরও রয়েছে অ্যাড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ, ৮ জিবি এলপিডিডিআর৪এক্স র‌্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.১ স্টোরেজ।

যেকোনো ধরনের ব্যবহারের জন্যই এর শক্তিশালী চিপসেট দিবে অনন্য পারফরমেন্স। গেমিং-ওরিয়েন্টেড চিপসেট ডিভাইসটিকে গেমারদের উপযুক্ত ডিভাইসে পরিণত করেছে।

৭ প্রো’তে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১০, সাথে রিয়েলমি ইউআই। এছাড়াও প্রথম ডিভাইস হিসেবে টিইউভি রেইনল্যান্ড স্মার্টফোন রিলায়েবিলিটি ভেরিফিকেশনে উত্তীর্ণ হয়েছে রিয়েলমি ৭ প্রো।

সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে হবে অনন্য ভিউইং এক্সপেরিয়েন্স মিড-রেঞ্জ সেগমেন্টে অন্যতম সেরা ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে রিয়েলমি’র নতুন এই স্মার্টফোনে। ফুল এইচডি প্লাস রেজ্যুলেশনের ৬.৪ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে রয়েছে ৬০০ ব্রাইটনেস নিটস এবং ৯৮ শতাংশ এনটিএসসি কালার গামুট কাভারেজ।

ফোনটির সকল পাশে সরু বেজেলের, ফলে এর স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও’র পরিমাপ ৯০.৮ শতাংশ; সোয়াইপ করার ক্ষেত্রে কিংবা হাতে নেয়ার স্বাচ্ছন্দ্যে পাশগুলো সামান্য বাঁকানো হয়েছে।

এ সকল স্পেশিফিকেশন ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো’র ডিজাইনে রয়েছে অভিনবত্ব। এর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেনো মনে হয় আয়নার ওপরে আলোর প্যাটার্ন। স্লিম ডিজাইন ফোনটিকে প্রিমিয়াম লুক দিয়েছে।

এছাড়া রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে ডলবি অ্যাটমোস ডুয়াল-চ্যানেল অডিও আউটপুট, যা উচ্চ মানসম্পন্ন সাউন্ড এফেক্ট নিশ্চিত করবে।

সুপার ডার্ট চার্জিং সুবিধা এবং প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে সকল স্পেশিফিকেশন, যা এখন হাই-এন্ড ডিভাইস থেকে প্রত্যাশা করে স্মার্টফোনপ্রেমীরা।

মিরর সিলভার এবং মিরর ব্লু- এ দুই রঙে ২৭,৯৯০ টাকা বাজারমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি ৭ প্রো। কেনার জন্য ক্লিক: https://realmebd.com/bd/realme-7-pro.html