প্রখ্যাত সাংবাদিক রাহাত খানের মৃত্যুতে জাতীয় মানবাধিকার সমিতির শোক

0
90

দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কথাশিল্পী রাহাত খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মো. আল আমিন ।

শুক্রবার এক শোক বার্তায় জাতীয় মানবাধিকার সমিতি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখক হিসেবে রাহাত খান মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও সমাজ উন্নয়নে বিপুল অবদান রেখেছেন। তাঁর মৃত্যু সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের বাসায় মার যান তিনি। রাতে তাঁর মরদেহ বারডেম হাসাপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। শনিবার (২৮ আগস্ট) বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। তবে সময় এখনো ঠিক হয়নি। দাফনের আগে প্রেসক্লাব, বাংলা একাডেমি ও শহীদ মিনারে নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

দেশের জনপ্রিয় এ কথাশিল্পী ও সাংবাদিক দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে গিয়ে একেবারে শয্যাশায়ী ছিলেন রাহাত খান। বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকরা ক’দিন আগে জানিয়েছিলেন, রাহাত খানের হার্ট আর কোনভাবেই রিকভার করা সম্ভব নয়।

তিনি ১৯৬৯ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দৈনিক বর্তমান।তিনি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার গ্রামের কৃতী সন্তান রাহাত খানের জন্ম ১৯৪০ সালের ১৯ ডিসেম্বর। রাহাত খানকে ১৯৯৬ সালে একুশে পদক ও ১৯৭৩ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।