চরম হুমকির মুখে খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ, দৌলতপুর বাজার এর একাংশ নদীগর্ভে বিলীন

0
115

আহছানুল আমীন জর্জ, খুলনা : চরম হুমকির মুখে পড়েছে খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ, দৌলতপুর বাজার এর একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।

খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর সরকারী বি এল কলেজ ও দৌলতপুর বাজার সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধের বেশিরভাগ অংশ ভৈরব নদে ধ্বসে গিয়ে তলিয়ে গেছে। শহর রক্ষা বাঁধটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। একাধিকবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও গত ৫ বছরেও আর্থিক বরাদ্দ অনুমোদন পায়নি খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ৫ বছর ধরে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের নিকট অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করে আসছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহর রক্ষা বাঁেধর কংক্রীট ব্লকগুলো ধ্বসে গিয়ে নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ধ্বসের ফলে স্থানীয় সরকারী বিএল কলেজের মন্দির সহ কয়েকটি ছাত্রাবাস ও দৌলতপুর বাজার , খুলনা জেলখানা ঘাট, সদর হাসপাতাল ঘাট, রুপসা ও লবন চরা এলাকা এবং খুলনা বড় বাজার এর আনুমানিক ৭০০ দোকান ঘর ও দৌলতপুরে ২৫০টি দোকান ঘর হুমকীর মুখে পড়ায় বাজার ব্যবসায়ীরা ও সরকারী বিএল কলেজ কর্তৃপক্ষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রীর কারণে শহর রক্ষা বাঁধ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পাউবো কর্মকর্তাদের একটি সুত্র জানায়, একটি মহল অবৈধভাবে বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় নিয়ম বহির্ভূত ও অবৈধভাবে দোকান পাঠ তৈরি করার কারনে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মাদ আলী জানান, বাঁধ ভাঙ্গনের বিষয়টি নিয়ে আমরাও খুবই হতাশাগ্রস্থ। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অপরদিকে দৌলতপুর বাজার ব্যবসায়ী আলহাজ্ব এইচ.এম. এ রহিম, শেখ মোশারেফ হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন, কামালসহ ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান। এ বিষয়ে পাউবো’র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দ্রুত বাঁধটি পুনঃনির্মান করে গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা রক্ষা করা খুবই প্রয়োজন বলে খুলনাবাসী মনে করেন।
গত চার বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন পরিচালক মোজাফফর হোসেন জানিয়েছিলেন,অর্থ মন্ত্রনালয় অর্থ বরাদ্দ দিলে শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হবে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, আমরা খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের জন্য একাধিক বার আবেদন করেছি।

অপর দিকে খুলনা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন বলেন, খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ যদি দ্রুত সংস্কার না করা হয় তবে এক সময় ভৈরব নদীর ভাঙ্গনের ফলে খুলনা শহর প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
দৌলতপুর থ্রীহুইর্লাস ড্রাইর্ভাস ইউনয়িনরে সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, আমরা দৌলতপুরবাসী খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ এর দ্রুত সংস্কার চাই ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়া র্পয্ন্ত শহর রক্ষা বাধ সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।