যে কারণে ১১ বছরের সম্পর্কের ইতি টানেন সঙ্ঘশ্রী

0
128

সুন্দর চেহারার অধিকারী না হলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোটা খুবই কঠিন। চেহারার গঠন সুন্দর না হলে হাজারও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় একজন মানুষকে। আর সে যদি হয় নারী, তাহলে তো কথাই নেই। সহ্য করতে হয় মানুষের নানা ধরণের কটূক্তি। আর সেই কটূক্তির শিকারই হয়েছিলেন কলকাতার ছোট পর্দার অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিন্‌হা মিত্র।

জীবনের অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে তাকে। কখনও চেহারা নিয়ে, কখনও বা পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। মালদহ শহর থেকে কলকাতায় আসেন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে। শুরু হয় জীবনে টিকে থাকার কঠিন লড়াই।

বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মায়ের ব্যবসা খুব একটা ভালো চলছিল না। তাই সংসারের দায়িত্বও পড়েছিলো তার কাঁধেই। পরিবারের দায়িত্ব যেমন ছিল, তেমনি আরেক দিকে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অভিনেত্রীর দীর্ঘ দিনের প্রেম। বাধ্য হন দীর্ঘ ১১ বছরের সেই সম্পর্ক ভেঙে দিতে। যদিও অনেক কষ্ট হয়েছিলো তার, কিন্তু এতদিনের সম্পর্ক ভাঙতে দু’বারও ভাবেননি তিনি।

টলিপাড়ায় ইতোমধ্যে নিজের জায়গা প্রায় শক্ত করে ফেলেছিলেন। ‘কি করে তোকে বলব’, ‘ফেলনা’-সহ একাধিক ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তবে নিজেকে একটা ভুল সম্পর্কের জড়িয়ে অনেক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে তার জীবন।

এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আপনাদের, যদি কেউ আপনাকে অপমান করে তাহলে সেটা তা সহ্য করবেন না। আপনার গায়ে হাত তোলে, কখনই সেটা এড়িয়ে যাবেন না। ভাববেন না যে এটা তার শুধুই ভুল ছিল। না এগুলো শুধুই তার অভ্যাস। যা কখনও পরিবর্তন হবে না। ১১ বছরের সম্পর্কে আমাকে বার বার শুনতে হয়েছে, তুই তো অনেক মোটা, এই গঠনে তোকে কে অভিনয়ে সুযোগ দেবে। সুযোগ পেলেই অনেক মারধর করত। তাই আর সহ্য করতে না পেরে ভেঙে দিয়েছি সেই সম্পর্ক।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিয়ে করে মন দিয়েই সংসার করছেন সঙ্ঘশ্রী। মায়ের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করেন অভিনেত্রী। বিয়ের পর জীবনের সব লড়াইয়ে স্বামীকে পাশে পেয়ে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবতী মনে করেন সঙ্ঘশ্রী।