সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে ধংশের পথে হিজলার ঐতিয্যবাহী পঞ্চমঠ

0
94

হিজলা প্রতিনিধি : বরিশালের হিজলা উপজেলা গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কাউরিয়া বাজার সংলগ্ন ১৩০৬ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিয্যবাহী পঞ্চমঠ। এটি তৎকালিন জমিদার বাড়ি। বাড়িটিতে প্রায় ৩ একর জমি রয়েছে কিন্তু মঠটি ১০ শতাংশ জমির উপর নির্মত এর উচ্চতা চ’ড়া প্রায় ১ শত ফুট। এই মঠটি নির্মাণশৈলীর আকর্ষণে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩ থেকে ৩ শতাধিত দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে এ সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সংস্কার ও যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে মঠটি এখন হুমকির মধ্যে রয়েছে।

২০০৯ এর পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে মঠটির ভেঙে ফেলা দরজা-জানালা ও সিঁড়ির ২২টি ধাপের সংস্কার করা হয়।পরে স্থানীয় সাংসদ পংকজ নাথ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। সেই অর্থ দিয়ে মঠের সৌন্দর্যবর্ধনে কাজ করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানায় এ মঠটি ঘিরে একটি মিথ্যা প্রচলিত ছিল। এলাকার মানুষ মনে করত, মঠের চূড়ায় মূল্যবান ধনসম্পদ রক্ষিত আছে। এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০/২৫ বছর পূর্বে রাতের আঁধারে ৮ টি চূড়া ভেঙে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের দাবী জমিদার বরদাকান্ত মিত্রের বাড়ির দখল হওয়া তিন একর সম্পত্তি উদ্ধার করে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা করা হলে, ঐতিয্যবাহী প মঠটি সৌন্দর্য রক্ষা পাবে এব্যপারে প্রশাসনের উদ্ধতর কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

মঠ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ডা. অশোক কুমার চ্যাটার্জী জানায় ১৮৯৯ সালে জমিদার বরদাকান্ত মিত্র এ প মঠ নির্মাণ করেন। এখানে একই পাটাতনের ওপর পাশাপাশি দুটি সমাধি মন্দির রয়েছে। এর একটি বরদাকান্ত মিত্রের বাবা রাম কানাই মিত্র ও অন্যটি তার মায়ের। স্থাপত্যশৈলীর দিক থেকে ব্যতিক্রম ও দৃষ্টিনন্দন এ মঠ তৈরিতে টানা দুই বছর সময় লেগেছিল। ভূমি থেকে ১০০ ফুট উঁচু এ মঠের চূড়া। মঠটির নির্মাণশিল্পীদের আনা হয়েছিল ভারত থেকে। ১০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত মঠের চারপাশে তিন একর জমি রয়েছে। এর পাশেই রয়েছে জমিদার বাড়ির নাট মন্দির। ১৯৫১ সালে জমিদার বরদাকান্ত মিত্রের বংশধররা দেশান্তর হয়ে ভারতে চলে যায়। তবে ১৯৭১ সালের পর চারটি পরিবার এ পুরো জমি দখলে নিয়ে নেয়। এ মঠের স্থাপনারও যথেষ্ট ক্ষতি সাধন করছে। তবে তারা বহু চেষ্টা কওে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের ৫ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছিলাম সংস্কারের জন্য এবং পরে স্থানীয় সাংসদ পংকজ নাথের ৭০ হাজার টাকা অনুদার পেয়ে কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সংরক্ষনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু তাদের এখনো দেখা মেলেনি।

হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন- আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি এখনো নিজে মঠটি দেখিনি শুনেছি এটি একটি দৃষ্টিনন্দন পঞ্চমঠ। পুরাতন জমিদার বাড়ি ও মঠের জায়গা বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে উন্নয়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।