মাগুরায় মেধাবী ছাত্রীকে বাইসাইকেল উপহার দিলেন মানবিক ইঞ্জিনিয়ার শেখ নবীব আলী


মতিন রহমান, মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের তাড়াড়া গ্রামের মেধাবি স্কুল ছাত্রী তুয়া পাত্র পাইনি সরকারি বাইসাইকেল। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজের পক্ষ থেকে নিজ অর্থায়নে তুয়া পাত্রকে বাই সাইকেল কিনে উপহার দিলেন ইঞ্জিনিয়ার নবীব আলী। বাই সাইকেল উপহার পেয়ে খুশি হয়েছে তুয়া পাত্র। সে শত্রুজিৎপুর কালি প্রসন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীতে পড়ছে। সে তাড়ড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আনন্দ পাত্রের মেয়ে।
বাই সাইকেলের বিষয়ে আনন্দ পাত্র জানান, তুয়া গোয়ালবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলো। যখন ক্লাস টুতে পড়ে তখন থেকে সে ক্লাসে ফাস্ট ছাত্রী ছিলো। ৫ম শ্রেণী থেকে মেধা তালিকায় সে বৃত্তি পায়। পরে প্রাইমারি স্কুলের পাশেই গোয়ালবাথান হাইস্কুলে তাকে ভর্তি করি।
তাড়ড়া থেকে গোয়ালবাথান স্কুলে আসতে তার অনেক বেগ পেতে হতো। স্কুলে যেতে সচারচর কোনো বাহন পেতো না সে । তাড়ড়া থেকে গোয়ালবাথান হাইস্কুলে আসতে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তার। এজন্য তার একটি বাই সাইকেলের প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু আমার ইনকামে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই সরকারি ভাবে বরাদ্দের সাইকেলের আশায় করে ২ বার বাই সাইকেল পাননি বলে জানান তিনি। তখন তুয়া ৭ম শ্রেনীতে পড়ে।
তিনি বলেন, সরকার যেসব সাইকেল হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের দিয়েছে। গোয়ালবাথান হাইস্কুল থেকে অনেক স্কুলের কাছাকাছি থাকা শিক্ষার্থী ও স্বচ্ছল পরিবারের সন্তানরা সাইকেল পেয়েছে। অথচো আমার মেয়ে ৩/৪ কিমি দুর থেকে স্কুলে আসা যাওয়া করলেও সে পাইনি সাইকেল। অভিমানে মেয়েটি ৮ম শ্রেনী পাসের পরে আর পড়তে চায়নি গোয়ালবাথান হাইস্কুলে। মেয়ের ইচ্ছাতেই পাশের ইউনিয়নের স্কুলে ৯ম শ্রেনীতে তাকে ভর্তি করি।
এদিকে মেধাবি শিক্ষার্থী তুয়া পাত্রের বিষয়ে জানতে পেরে তাকে নিজ অর্থায়নে সাইকেল কিনে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার নবীব আলী। তিনি গোয়ালবাথান প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। প্রেসিডেন্সি কলেজের পক্ষ থেকে সাইকেলটি কিনে দেওয়া জন্য তুয়ার পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করেছিলেন বলে জানান মানবিক এই ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নবীব আলী। তিনি গোয়ালবাথান গ্রামের মরহুম নওশের নায়েবের পুত্র।
রবিবার উপহার পাওয়া সাইকেলটি দেখাতে এনে আনন্দ ও খুশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন অভিভাবক আনন্দ পাত্র। তিনি জানান, তার মেয়ে তুয়া শাপলা স্কাউটে যশোর, ঝিনাইদহ ও মাগুরা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। সে অত্যন্ত মেধাবী। মেয়ের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন আনন্দ পাত্র।