মাগুরার মহম্মদপুরের মাহফুজারকে হত্যার শাস্তি দাবি নিহতের পরিবারের


মতিন রহমান, মাগুরা জেলা সংবাদদাতা: মাগুরার মহম্মদপুরের বানিয়াবহু গ্রামে সামাজিক দলাদলি ও জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মাহফুজার নামে একজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বানিয়াবহু গ্রামের মোঃ আফসার মোল্যা (৬৫) এবং একই গ্রামের কদম আলী মোল্যা ও তার ছেলে সবুজের সঙ্গে জমি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই সূত্র ধরে কদম আলী চলতি বছরের গত ২৯ জুন আফসার মোল্লার পুত্র মাফুজারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় পাশের একটি মেহেগনি বাগানে নিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। এসময় কদম আলী ও তার ছেলে সবুজ সহ তাদের দলীয় লোকজন মাহফুজারকে হত্যা করে।
এসময় মাফুজারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই ফারুক এগিয়ে গেলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে ফারুককে মেরে আহত করে তারা। এঘটনায় নজির মোল্যা, সবুজ মোল্যা, কদম আমী, আকবার মোল্যা, বাচ্চ্ু মোল্যা, আমজেদ মোল্যা, মুজিবর মোল্যা সহ একই এলাকার ২১ জনকে আসামি করে নিহতের পিতা আফসার মোল্যা বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরে আসামি পক্ষের বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ও তাদের নিজ দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আসামি পক্ষ । এঘটনায় সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান নিহতের পরিবার।
এসব ঘটনায় নিহতের বাবা আফসার মোল্যা অভিযোগ করেন, মামলার পরে আসামি পক্ষের হুমকিতে দিন কাটছে তাদের। আসামি পক্ষের লোকেরা নিজেদের ঘরবাড়ি নিজেরা ভাংচুর করে তাদের বিরুদ্ধে ও তাদের দলীয় লোকেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি তার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি জানান।
নিহত মাহফুজারের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বলেন, স্বামীহারা হয়ে তিনি দুটি এতিম শিশুদের নিয়ে বসবাস করছেন। তার স্বামীর হত্যাকরীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি।
নিহত মাহফুজারের চাচাতো ভাই ফারুক মোল্যা সহ আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা বলেন, বাড়িঘর ভাংচুর মামলায় তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফারুক বলেন, তাদের ভাই নিহত হওয়ার ঘা এখনো শুকায়নি, তার চাচা আফসার মোল্যা সন্তান হারিয়ে এখনো পাগল প্রায়। অথচো হত্যা মামলার আসামিরা নিজেদের বাড়িঘর নিজেরা ভাংচুর করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে ৩টা মামলা করেছে বলেও অভিযোগ করে তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এদিকে হত্যা মামলার আসামিদের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায়, আসামি পক্ষের লাভলী খাতুন সহ অন্যরা পাল্টা অভিযোগ করেন। তারা বলেন মাহফুজ মারা যাওয়ার পরে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের বেলায় তাদের বাড়িঘরে ভাংচুর করেছে।
এদিকে এসব ঘটনার পরে উত্তেজিত গ্রামে শিগগিরই শান্তি ফিরবে এটাই কামনা করেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ।