রামপালে ঘরে ঘরে জ্বর, ফার্মেসীতে নেই ‘নাপা’

0
216

সুব্র ঢালী,স্টাফ রিপোর্টারঃ রামপালে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে জ্বরের প্রকোপ ৷ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই জ্বর সর্দি কাশিতে ভূগছেন সাধারণ মানুষ ৷ স্থানীয় বাজারের ফার্মেসীতেও মিলছে না ‘নাপা’ ৷ তাতে দূর্ভোগ আরও চরমে পৌছেছে ৷

সরেজমিনে রামপালের স্থানীয় মানুষজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ না কেউ ৷ একদিকে করোনা মহামারির কারনে মানুষের মধ্যে একধরনের সামাজিক ভয় কাজ করছে ৷ তাই সহসা অনেকেই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স মুখী হচ্ছেন না ৷ তাদের ভরসা স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক ও ফার্মেসী ৷ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে করোনা টেষ্ট করাতে হতে পারে এ ধরনের একপ্রকার ভয় তাদের মধ্যে কাজ করছে ৷ তবে গ্রামের হাট-বাজার বা ফার্মেসীতে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না সাধারণের পরিচিত জ্বরের ওষুধ বেক্সিমেকো ফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদিত নাপা (৫০০ মি:গ্রা) ও নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট ৷

স্থানীয় বাজারের কয়েকজন ঔষধ বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানাগেছে, এই মূহুর্তে বেক্সিমেকো ফার্মা সিউটিক্যালের বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছে ‘নাপা’র চাহিদার কথা জানালেও সেটি তাদের এখনও সরবরাহ করা হয়নি ৷ তাই তার পরিবর্তে তারা অন্য কোম্পানির প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ দিচ্ছেন ৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেক্সিমেকো ফার্মার রিজিওনাল সেলস এক্সিকিউটিভ আজিজুল হক জানান, “আমাদের প্রডাক্টের কিছু ক্রাইসিস ছিল ৷ আজ রামপাল মোংলাতে আমাদের বিক্রয় প্রতিনিধি নাপা এক্সট্রা সরবরাহ করেছে ৷ সামনের সপ্তাহ নাগাদ সব ফার্মেসিতে নাপা সরবরাহ করা হবে” ৷

রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাঃ পারভেজ হোসেন জানান, “করোনার উপসর্গ আর সাধারন ফ্লু’র উপসর্গে বেশ মিল রয়েছে ৷ পরীক্ষা না করে কখনও এই দুটিকে আলাদা করা যাবে না ৷ জ্বর সর্দি কাশি গলাব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে করোনার শনাক্তকরণ পরীক্ষা করানো বেশ জরুরী ৷ পরীক্ষা না করানোর কারনে গোটা এলাকায় ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে মানুষের মাঝে করোনা নিয়ে একটা সামাজিক ট্যাবু কাজ করছে, যার কারনে তারা পরীক্ষা করাতে চায় না ৷ অনেকে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং জ্বর সেরে গেলে প্রচন্ড শারীরীক দূর্বলতা অনুভব করলে হাসপাতালে আসছেন ৷ তাদের অনেকেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে গেছে যা তাদের জন্য অত্যন্ত ঝূকিপূর্ণ” ৷

রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত পাল জানান, “আগের তুলনায় মানুষের মধ্যে এখন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা এবং মাস্ক পরার আগ্রহ দেখা গেছে ৷ উপজেলা পর্যায়ে এখন সরকারের প্রচেষ্টায় এ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে যার ফলে দ্রুততম সময়ে করোনার সনাক্তকরন সম্ভব হয়েছে ৷ যদি কোনো ব্যাক্তির হাসপাতালে আসার সক্ষমতা না থাকে খবর দিলে , সেক্ষেত্রে আমরা তার বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনছি” ৷